বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মালিক ইবনে সা’সাআ (রা.) থেকে বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদিসের বর্ণনা মতে নিম্নরূপ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জিবরাইলসহ চলতে চলতে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে গিয়ে পৌঁছলাম। জিজ্ঞেস করা হলো, এ কে? উত্তরে বলা হলো জিবরাইল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে আর কে? উত্তর দেওয়া হলো, মুহাম্মদ (সা.)। প্রশ্ন করা হলো তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হলো, তাঁকে অভিনন্দন, তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি আদম (আ.)-এর কাছে গিয়ে সালাম করলাম। তিনি বললেন, পুত্র ও নবী, তোমাকে অভিনন্দন। অতঃপর আমরা দ্বিতীয় আসমানে আমি ‘ঈসা ও ইয়াহইয়া (আ.)-এর কাছে এলাম। তাঁরা উভয়ে বললেন, ভাই ও নবী, আপনার প্রতি অভিনন্দন। অতঃপর আমরা তৃতীয় আসমানে পৌঁছলাম এবং আমি ইউসুফ (‘আ.)-এর কাছে গেলাম। তাঁকে আমি সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী, আপনাকে অভিনন্দন। অতঃপর আমরা চতুর্থ আসমানে পৌঁছে আমি ইদরিস (আ.)-এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী, আপনাকে অভিনন্দন। এরপর আমরা পঞ্চম আসমানে পৌঁছলাম। সেখানে আমরা হারুন (আ.)-এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী, আপনাকে অভিনন্দন। এরপর আমরা ষষ্ঠ আসমানে পৌঁছলাম। অতঃপর আমি মুসা (আ.)-এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী, আপনাকে মারহাবা। অতঃপর আমি যখন তাঁর কাছ দিয়ে গেলাম, তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁকে বলা হলো, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, হে প্রতিপালক, এ ব্যক্তি যে আমার পরে প্রেরিত, তাঁর উম্মত আমার উম্মতের চেয়ে বেশি পরিমাণে বেহেশতে যাবে। অতঃপর আমরা সপ্তম আকাশে পৌঁছলাম এবং আমি ইবরাহিম (আ.)-কে সালাম করলাম। তিনি বললেন, হে পুত্র ও নবী, আপনাকে অভিনন্দন। ফেরার সময় মুসা (সা.)-এর সঙ্গে নামাজ নিয়ে মহানবী (সা.)-এর দীর্ঘ কথোপকথন হয়। তাঁর পরামর্শ মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছে নামাজের ওয়াক্তের সংখ্যা কমানোর আবেদন করেন এবং তা ৫০ ওয়াক্ত থেকে পাঁচ ওয়াক্ত করা হয়। এ ছাড়া প্রতি আসমানে আল্লাহর ফেরেশতারা মহানবী (সা.)-কে অভিনন্দন জানান। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩২০৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নবীগণের প্রায় সবাই জমিনে মৃত্যুবরণ করেছেন।শুধুমাত্র হযরত ইসা আঃ কে আল্লাহ আসমানে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন।
নবীদের আসমানে মৃত্যু সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।