(০১)
মসজিদ আবাদের গুরুত্ব অপরিসীম।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهَِّ مَنْ آَمَنَ بِاللهَِّ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآَتَى الزَّكَاةَ وَلمَْ يخَْشَ إِلَّا اللهََّ فَعَسَى أُولَئِكَ أَنْ يَكُونُوا مِنَ
( المُْهْتَدِينَ ﴿ ١٨ ﴾. (سورة التوبة : ١٨
নি:সন্দেহে তারাইতো আলাহর মসজিদ আবাদ করবে, যারা ঈমান আনে আলাহ ও আখেরাতের প্রতি এবং সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আলাহ ব্যতীত অন্য কাউকেই ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তারা সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (তাওবা : ১৮)
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি সকাল অথবা সন্ধ্যায় মসজিদে যায়, তার জন্য আল্লাহ মেহ্মানীর উপকরণ প্রস্তুত করেন। যখনই সে সেখানে যায়, তখনই তার জন্য ঐ মেহ্মানীর উপকরণ প্রস্তুত করা হয়।” (বুখারী ৬৬২, মুসলিম, সহীহ ৬৬৯নং)
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে এলাকার সকল নামাজিদের সফরে যাওয়া,মসজিদে নামাজ আযান বন্ধ রাখার অনুমতি ইসলাম প্রদান করেনা।
তবে এক্ষেত্রে মসজিদে জামাত, আযান না হওয়ায় এলাকার মহিলাদের বাসায় নামাজ আদায়ে কোনো সমস্যা হবেনা।
তাদের নামাজ হয়ে যাবে।
,
(০২)
হ্যাঁ, তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
নামাজের সময় হলেই নামাজ পড়া যাবে। নামাযের অন্যতম একটি শর্ত হল, সময় হওয়া। আযান হোক বা না হোক।
,
আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا
“নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।” (সূরা নিসা: ১০৩)
তবে আযানের পর নামাজ পড়া সুন্নাত।
ওয়াক্ত আসার পর বিনা ওযরে কেহ আযানের আগে নামাজ পড়লে সেটি মাকরুহ হবে।
তবে নামাজ হয়ে যাবে।
,
(০৩)
জামাত পাওয়া যাবেনা,জানলেও মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়াই উত্তম।
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন “যে ব্যক্তি কোন ফরয নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে স্বগৃহে থেকে ওযু করে (মসজিদের দিকে) বের হয় সেই ব্যক্তির সওয়াব হয় ইহ্রাম বাঁধাহাজীর ন্যায়। আর যে ব্যক্তি কেবলমাত্র চাশতের নামায পড়ার উদ্দেশ্যেই বের হয়, তার সওয়াব হয় উমরাকারীর সমান। এক নামাযের পর অপর নামায; যে দুয়ের মাঝে কোন অসার (পার্থিব) ক্রিয়াকলাপ না থাকে তা এমন আমল যা ইল্লিয়্যীনে (সৎলোকের সৎকর্মাদি লিপিবদ্ধ করার নিবন্ধ গ্রন্থে) লিপিবদ্ধ করা হয়।” (আবূদাঊদ, সুনান, সহিহ তারগিব ৩১৫নং)
★মসজিদের ইমাম নির্দিষ্ট না থাকা বাড়িতে নামাজ আদায়ের ওযর হবেনা।
শুধু এই কারনে বাড়িতে নামাজ আদায় করলে গুনাহ হবে।
তবে তাকে কুরআন দেওয়ার আগে তাকে পবিত্র হয়ে পবিত্র স্থানে কুরআন পড়ার অনুরোধ করবেন।