আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,056 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
জুতা পরার সুন্নতি নিয়মে বলা আছে সহীহ বুখারি এর ৫৮৫৫ এ, জুতা পরার সময় ডান পায়ের জুতা আগে পরবে এবং খোলার সময় বাম পায়ের জুতা আগে খুলবে, এই হাদিস বা সুন্নত মেনে চললে কি আমার সওয়াব হবে? নাকি শুধুই নবির হাদিস মানা বা বিজ্ঞানসম্মত কোন কারনে মানা ব্যাপারটা এমন হবে?
আর সওয়াব হলেই কি পরিমান সওয়াব হবে?
by (2 points)
Alhamdulillah 

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

 

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

عَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ، قَالَ: « إِذَا انْتَعَلَ أحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِالْيُمْنَى، وَإِذَا نَزَعَ فَلْيَبْدأْ بِالشِّمَالِ لِتَكُنْ اليُمْنَى أوَّلَهُمَا تُنْعَلُ، وَآخِرُهُمَا تُنْزَعُ ». متفقٌ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যখন জুতা পরবে, তখন সে যেন ডান পা দিয়ে শুরু করে। আর যখন খুলবে, তখন সে যেন বাম পা দিয়ে শুরু করে। ডান পায়ের জুতা যেন আগে পরা হয় এবং পরে খোলা হয়।’’ [বুখারি ৫৮৫৬, মুসলিম ২০৯৭, তিরমিযি ১৭৭৯, আবু দাউদ ৪১৩৯, ইবন মাজাহ ৩৬১৬, আহমদ ৭১৩৯, ৭৩০২, ৭৭৫৩, ৯০৫১, ৯২৭৩, ৯৬৭৭, ৯৮৩৩, ১০০৮০, মুওয়াত্তা মালেক ১৭০২]

পায়ের পোশাক মোজা ও জুতা। ইসলাম জুতা ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করে। জুতা পরিধানের ইসলামী শিষ্টাচার হলো :

এক. জুতা পরার সময় ডান পা এবং খোলার সময় বাম পাকে অগ্রাধিকার দেওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের যখন কেউ জুতা পরে, তখন সে যেন ডান পা থেকে শুরু করে এবং যখন খোলে, তখন সে যেন বাম পা থেকে শুরু করে। যাতে ডান পায়ের জুতা আগে পরা হয় এবং শেষে খোলা হয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৮৫৬)

দুই. কোনো হিংস্র জন্তু জুতা বা মোজার ভেতর লুকিয়ে থাকতে পারে—এই আশঙ্কায় তা ঝেড়ে পরা উত্তম।

তিন. দাঁড়িয়ে জুতা পরিধান করবে না। কেননা আল্লাহর রাসুল (সা.) দাঁড়িয়ে জুতা পরতে নিষেধ করেছেন। (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)

চার. এক পায়ে জুতা দিয়ে পথ চলবেন না। এতে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যগত কোনো ক্ষতি থাকতে পারে। অন্যের চোখে দৃষ্টিকটু দেখাতে পারে। আর তা ছাড়া এক পায়ে জুতা দিয়ে চলে শয়তান। অতএব পথ চলতে একটি জুতা নষ্ট হয়ে গেলে, অন্য জুতা পায়ে না রেখে উভয় জুতা হাতে নিয়ে পথ চলতে হবে। (মুসলিম, হাদিস : ২০৯৮)

পাঁচ. কখনো কখনো খালি পায়ে হাঁটা সুন্নত। ফাজালা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) আমাদের কখনো কখনো খালি পায়ে চলতে আদেশ করতেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪১৬০)

নবীজি (সা.)–এর ভালোবাসা মুমিনের ইমান; সুন্নাতের অনুসরণই ভালোবাসার প্রমাণ। কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন,

قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

(হে রাসুল!) আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও তবে আমার অনুসরণ করো; ফলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন, তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ (সুরা-৩, আলে ইমরান, আয়াত: ৩১)।

হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার সুন্নাতকে ভালোবাসে, সে অবশ্যই আমাকে ভালোবাসে; আর যে আমাকে ভালোবাসে সে জান্নাতে আমার সঙ্গেই থাকবে।’ (তিরমিজি: ২৭২৬)।

 তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ মুমিন হবে না, যতক্ষণ না আমি (নবীজি সা.) তার নিকট তার সন্তান অপেক্ষা, তার পিতা অপেক্ষা এবং সকল মানুষ অপেক্ষা বেশি প্রিয় না হই।’ (বুখারি: ১৩-১৪)।

যে যাকে ভালোবাসবে, তার সঙ্গে তার হাশর নশর হবে।’ (বুখারি: ৬১৬৯ ৩৬৮৮, মুসলিম: ২৬৩৯)।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

জুতা পরিধান করা একটি সুন্নাহ। আপনি নবীজির সুন্নাহ পালনের উদ্দেশ্যে জুতা পরিধান করলে অবশ্যই সুন্নাহ পালন করার সওয়াব পাবেন যা অসংখ্য হাদীস দ্বারা প্রমানিত।কয়েকটি ফজিলতের হাদীস উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...