আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
332 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (80 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম।

১) কোন পুরুষ/কোনো নারীর জন্য কোন নন মাহরাম ব্যাক্তির সাথে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া পর্দার সহিত কথা বলা যাবে কি?সালাম দেওয়া বা সালামের উত্তর দেওয়া যাবে?

২)কোনো নন মাহরাম যদি মেসেজ দেয় তার রিপ্লাই দেওয়া কি জায়েয?

৩) মাগরিবের নামাজে সালাম ফিরানোর সময় ভুলে আসসালামু আলাইকুম বলার জায়গায় ওয়ালাইকুম বলে ফেলেছি।আমার কি নামাজ আবার আদায় করা লাগতো?এতক্ষণে ঈশার নামাজও আদায় করে ফেলেছি।আমার যদি মাগরিব আবার আদায় করা লাগে তাহলে কি ঈশা ও আবার আদায় করতে হবে?

৪) অযুতে কোনো অঙ্গ তিনবারের যায়গায় ৪বার ধুয়ে ফেললে কি পুনরায় অজু করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يا ايها النبى قل لازواجك وبناتك ونساء المؤمنين ...

হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব : ৫৯)

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ তাআলা মুমিন নারীদেরকে আদেশ করেছেন যখন তারা কোনো প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে তখন যেন মাথার উপর থেকে ওড়না/চাদর টেনে স্বীয় মুখমন্ডল আবৃত করে। আর (চলাফেরার সুবিধার্থে) শুধু এক চোখ খোলা রাখে। (ফাতহুল বারী ৮/৫৪)

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:  https://www.ifatwa.info/572

এর উত্তর হলো- হানাফি মাজহাবের প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী নামাজ সম্পন্ন করার জন্য দুই সালামই ওয়াজিব। আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা.) আনহু বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) ডান ও বাম উভয় দিকে সালাম ফিরাতেন এবং উভয় দিকেই আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলতেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২৯৫)

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأُوَيْسِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَزِيدَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ حُمْرَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، رَأَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ دَعَا بِإِنَاءٍ، فَأَفْرَغَ عَلَى كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَمِينَهُ فِي الإِنَاءِ فَمَضْمَضَ، وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثَلاَثَ مِرَارٍ، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ إِلَى الْكَعْبَيْنِ، ثُمَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ

হুমরান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি ‘উসমান ইবনু আফফান (রাযি.)-কে দেখেছেন যে, তিনি পানির পাত্র আনিয়ে উভয় হাতের তালুতে তিনবার ঢেলে তা ধুয়ে নিলেন। অতঃপর ডান হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন। তারপর তাঁর মুখমন্ডল তিনবার ধুয়ে এবং দু’হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুলেন। অতঃপর মাথা মাসেহ করলেন। অতঃপর দুই পা টাখনু পর্যন্ত তিনবার ধুলেন। পরে বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘যে ব্যক্তি আমার মত এ রকম উযূ করবে, অতঃপর দু’রাক‘আত সালাত আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোন খেয়াল করবে না, তার পূর্বের গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (১৬০, ১৬৪, ১৯৩৪, ৬৪৩৩; মুসলিম ২/৩, হাঃ ২২৬, আহমাদ ৪৯৩, ৫১৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

. কোন নারীর জন্য কোন নন মাহরাম ব্যাক্তির সাথে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কথা বলা জায়েয নেই।এনকি কোন গায়রে মাহরামের সাথে সালাম দেওয়া নেয়াও জায়েয নেই। কারণ এতে ফেৎনার আশংকা আছে।

.কোনো নন মাহরাম যদি মেসেজ দেয় তার রিপ্লাই দেওয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা ।কারণ শয়তানের ধোকায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে যা ধীরে ধীরে বড় গুনাহের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

. আসসালামু আলাইকুম  ওয়া রহমাতুল্লাহ বলে নামাজ শেষ করা ওয়াজিব। সুতরাং ওয়াজিব ছুটে যাওয়ার কারণে উক্ত নামাজ পুনরায় (দোহরাবে)আদায় করে নিবে,যদিও উক্ত নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়।

. অযুতে প্রত্যেক অঙ্গ তিনবার করে ধৌত করা সুন্নাত। অতএব ইচ্ছাকৃত ভাবে যদি কোন ব্যক্তি চার বার কোন অঙ্গ ধৌত করে তবে তা মাকরুহ হবে  কিন্তু অজু হয়ে যাবে, পুনরায় অজু করার প্রয়োজন নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...