আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।
পিতা না থাকলে ভাই প্রাপ্তবয়স্ক না হলে মহরম কোনো আত্মীয় মামা, চাচা ব্যক্তিগত কারণে সহযোগিতা না করতে পারলে অর্থাৎ চিকিৎসার জন্য ৩দিনের বেশি সফর পরিমান দূরত্বে ফুপার(ননমহরম) সাথে যাওয়া যাবে? (যশোর থেকে ঢাকা)

কোনো মাহরাম সাহায্য করতে রাজি হবে না, আর আমি খুবই অসুস্থ, ভালো ডাক্তার দেখানো জরুরি হয়ে উঠেছে।

সাথে যাওয়ার জন্য ফুপাতো বোনকে বলেছি, সে এখনো জবাব জানায় নি, এছাড়া যাওয়ার মতো কোনো মেয়েও নেই। আর কোনো মেয়ে নিয়ে গেলে খরচ আরো বেশি হবে, এটা বহন করাও খুবই কষ্টসাধ্য, ফুপা রাজি হবেন কি না জানি না। এখন কী করণীয়?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছে-

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ اكْتُتِبْتُ فِىْ غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِىْ حَاجَّةً قَالَ: اِذْهَبْ فَاحْجُجْ مَعَ اِمْرَأَتِكَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
 
 [‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়, আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ/হজ করো।
সহীহ : বুখারী ৩০০৬, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭।

ইমাম নববী রাহঃ বলেন,

"فَالْحَاصِل أَنَّ كُلّ مَا يُسَمَّى سَفَرًا تُنْهَى عَنْهُ الْمَرْأَة بِغَيْرِ زَوْج أَوْ مَحْرَم " انتهى
মোটকথাঃ স্বামী বা মাহরাম পুরুষ ব্যতীত যেকোনো প্রকার সফর থেকে মহিলাকে বাধা প্রদান করা হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সেই ভাই বালেগ বা তার নিকটতম বয়সী হলে তাকে নিয়েই যাবেন।
যদি তার বয়স ১০/১২ বছর হয়,বুঝবান হয়,তাহলেই তাকে নিয়ে আপনি যেতে পারবেন।
এমতাবস্থায় আপনার জন্য ফুফার সাথে সফর জায়েজ হবেনা।
,
হ্যাঁ যদি আপনার ভাইয়ের বয়স নিতান্তই অনেক কম হয়,কোনো মাহরাম পুরুষ বা কোনো মহিলাও আপনার সাথে যেতে রাজি না হয়,তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি চেহারা,হাত পা ঢেকে পরিপূর্ণ পর্দা করে আপনার ফুফুর সাথে যাবেন,গায়রে মাহরামের সাথে যাওয়ার কারনে ইস্তেগফার চালিয়ে যাবেন।
আল্লাহর কাছে মাফ চাইবেন।
,
তার সাথে পাশাপাশি সিটে বসা যাবেনা,কোনো জায়গা বা স্থানে তার সাথে একাকিত্বে হওয়া যাবেনা।     
ফিতনার আশংকা থাকা যাবেনা। 
চেহারা,হাত পা ঢেকে পরিপূর্ণ পর্দা করে তার সামনে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...