ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
বিতর নামাজ তিন রাকাত।
★হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
عن أبي سلمة بن عبد
الرحمن أنه سأل عائشة رضي الله عنها كيف كان صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم في
رمضان؟ قالت ما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يزيد في رمضان ولا في غيره على
إحدى عشرة ركعة، يصلي أربعا فلا تسأل عن حسنهن وطولهن، ثم يصلي أربعا فلا تسأل عن
حسنهن وطولهن ثم يصلي ثلاثا.
আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. কে জিজ্ঞাসা করেন, ‘রমযানুল মুবারকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর নামায কীরূপ হত?’ উম্মুল
মুমিনীন বলেন, ‘নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে ও রমযানের বাইরে এগারো রাকাতের বেশি পড়তেন
না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন-এত সুন্দর ও দীর্ঘ সে নামায, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অতঃপর চার রাকাত
পড়তেন-এরও দীর্ঘতা ও সৌন্দর্য সম্পর্কে জানতে চেয়ো না। এরপর তিন রাকাত পড়তেন।’
(সহীহ বুখারী ১/১৫৪; সহীহ মুসলিম ১/২৫৪; সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮; সুনানে আবু দাউদ ১/১৮৯; মুসনাদে আহমদ ৬/৩৬)
. عن سعد بن هشام أن
عائشة حدثته أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان لا يسلم في ركعتي الوتر.
সা’দ ইবনে হিশাম বলেন, (উম্মুল
মুমিনীন) আয়েশা রা. বলেছেন, ‘নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না।’
(সুনানে
নাসায়ী ১/২৪৮; মুয়াত্তা
ইমাম মুহাম্মাদ পৃ. ১৫১)
. كان رسول الله صلى الله
عليه وسلم لا يسلم في الركعتين الأوليين من الوتر. هذا حديث صحيح على شرط الشيخين
ولم يخرجاه
ইমাম হাকেম রাহ. সা’দ ইবনে হিশামের বিবরণ এভাবে বর্ণনা করেছেন- রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের প্রথম দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না।’
(আলমুস্তাদরাক
১/৩০৪)
★ শরীয়তের
বিধান মতে বিতির
নামাজেরও কাজা আদায় করতে হবে।
عَنْ أَنَسِ بْنِ
مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ
أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ
اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى
অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা
আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১; মুসনাদে
আহমাদ, হাদীস
নং-১২৯৩২; সুনানে
বায়হাকী কুবরা, হাদীস
নং-৪১৮২)
★ ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي الفتاوى رجل يقضي
الفوائت فإنه يقضي الوتر وإن لم يستيقن أنه هل بقي عليه وتر أو لم يبق فإنه يصلي ثلاث
ركعات ويقنت ثم يقعد قدر التشهد ثم يصلي ركعة أخرى فإن كان وترا فقد أداه وإن لم
يكن فقد صلى التطوع أربعا ولا يضره القنوت في التطوع
ফাতাওয়ার কিতাব সমূহে বর্ণিত রয়েছে,একজন
ব্যক্তি সে তার জীবনের ছুটে যাওয়া নামায সমূহের কা'যা করতেছে।
তাহলে সে বিতিরেরও কা'যা করবে।যদি নিশ্চিত না থাকে যে,তার উপর কোনো বিতির কা'যা রয়েছে কি না? তাহলে সে তিন রা'কাত কা'যা পড়বে,এবং কুনুত করবে। অতঃপর তাশাহুদ পরিমাণ সময়
বৈঠক করবে।অতঃপর আরো এক রাকাত পড়বে।যদি সেটা বিতির হয়ে থাকে, তাহলে সেটা আদায় হয়ে যাবে। আর যদি বিতির না
হয়ে থাকে,তাহলে তো সে চার রাকাত পড়েই নিয়েছে যা নফল
হিসেবে গণ্য হবে। নফল নামাযে কুনুত করাতে কোনো সমস্যা নেই। (ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়া-১/১২৫)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে প্রথম
বৈঠকে আত্যাহিয়্যাতু পুরাটা পড়বে অর্থাৎ ‘আবদুহু ওয়া রসূলুহু’ পর্যন্ত পড়বে। দরুদ
শরীফ ও দোয়ায়ে মাসূরা পড়বে না।
২. ফরজ সালাতের তৃতীয় রাকাআতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়তে হয় না।
৩. সেজদায় চোখ বন্ধ রাখা অনুত্তম।
৪. ছুটে যাওয়া বিতরের নামাজ পরে কাযা করে নিবেন।
৫. বিতরের নামাজ তিন রাকাত। এক রাকাত নয়।
৬. প্রশ্নোক্ত কথাটি সঠিক নয়।