আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in সালাত(Prayer) by (80 points)
আসসালামু ওয়ালাইকুম।

ফযরের ফরজ পড়ার সময় অল্প একটু সময় বাকি ছিল। সালাম ফিরানোর পর মোবাইলে অ্যাপে দেখি নিষিদ্ধ সময় শুরু হয়ে গেছে।সময় দেখে বুঝলাম বৈঠক করার আগেই নিষিদ্ধ সময় শুরু হয়ে গেছে।তাই আমি নিষিদ্ধ সময় শেষ হওয়ায় পর ফযরের ফরজ পুনরায় দোহরিয়ে নিয়েছি। আমার কি নামাজ এখন শুদ্ধ হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

তিন সময়ে নামাজ পড়তে হাদীস শরীফে নিষেধ করা হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الشَّمْسُ تَطْلُعُ وَمَعَهَا قَرْنُ الشَّيْطَانِ فَإِذَا ارْتَفَعَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا اسْتَوَتْ قَارَنَهَا فَإِذَا زَالَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا دَنَتْ لِلْغُرُوبِ قَارَنَهَا فَإِذَا غَرَبَتْ فَارَقَهَا " . وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الصَّلاَةِ فِي تِلْكَ السَّاعَاتِ .

আবদুল্লাহ সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সুর্য শয়তানের দুই শিঙের মধ্য দিয়ে উদিত হয়। যখন সুর্য উপরে উঠে, তখন শয়তান তা থেকে দুরে সরে যায়। আবার যখন সুর্য মাথার উপর আসে, তখন শয়তান এসে মিলিত হয়। আবার ঢলে পড়লে পৃথক হয়ে যায়। আবার যখন সুর্য অস্তগমনের নিকটবর্তী হয়, তখন শয়তান মিলিত হয় এবং যখন সুর্য অস্তমিত হয়, তখন শয়তান সরে যায়। এ জন্যই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ তিন সময় সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন ( সুনান আন-নাসায়ী ,৫৬০)

অন্য এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ ثَلاَثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ .

উকবা ইবনু আমির জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনটি সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সালাত আদায় করতে ও মৃত ব্যাক্তিকে কবরস্থ করতে নিষেধ করেছেন (১) যখন সুর্য আলোকিত হয়ে উদয় হয়, যাবৎ না ঊর্ধাকাশে উঠে; (২) যখন দ্বিপ্রহর হয়, যাবৎ না সুর্য হেলে পড়ে আর (৩) যখন সুর্য অস্ত যাওয়ার উপক্রম হয়, যাবৎ না সম্পূর্ণ অস্ত যায়। ( সুনান আন-নাসায়ী ,৫৬১)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 

 

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যদি ফজরের নিষিদ্ধ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তা আদায় করে থাকেন এবং নামাজের সঠিক নিয়ম-পদ্ধতি অনুসরণ করে নামাজ আদায় করেন,তাহলে তা শুদ্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...