بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
ঘরে প্রাণীর ছবি, প্রতিকৃতি, ইত্যাদি সংরক্ষণ
করা হারাম। যে ঘরে এসব থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।
যেমন:
عن على رضى
الله تعالى عنه قال صنعت طعاما فدعوت النبى صلى الله عليه و سلم فجاء فدخل فراى
سترا فيه تصاوير فخرج وقال ان الملكئة لا تدخلو بيتا فيه تصاوير .
অর্থঃ হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
হতে বর্ণিত| তিনি বলেন,
আমি খাদ্য তৈরী করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
দাওয়াত দিলাম| হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসে,
ঘরে প্রবেশ করে প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি পর্দা দেখে, ঘর হতে বের হয়ে গেলেন| এবং বললেন, “নিশ্চয়ই ফেরেশতারা ঐ ঘরে প্রবেশ করেননা, যে ঘরে প্রাণীর
ছবি থাকে|”
[ নাসাঈ শরীফ ২/ ৩০০ ]
আবু যুরআ রাহ বলেন-
دخلت مع أبي
هريرة في دار مروان، فرأى فيها التصاوير، فقال : سمعت رسول الله صلى الله عليه
وسلم يقول : قال الله عز وجل : ومن أظلم ممن ذهب يخلق خلقا كخلقي فليخلقوا ذرة،
وليخلقوا حبة، أو ليخلقوا شعيرة.
আমি আবু হুরায়রা রা.-এর সঙ্গে মারওয়ানের
গৃহে প্রবেশ করলাম। সেখানে কিছু চিত্র তাঁর দৃষ্টিগোচর হল। তিনি তখন বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে
বলতে শুনেছি, আল্লাহ তাআলা বলেন-
ومن أظلم ممن
ذهب يخلق خلقا كخلقي
ওই লোকের চেয়ে বড় জালেম আর কে যে আমার সৃষ্টির
মতো কোনো কিছু সৃষ্টি করতে চায়। (তাদের যদি সামর্থ্য থাকে তবে) সৃষ্টি করুক একটি কণা, একটি শষ্য কিংবা একটি যব! (সহীহ মুসলিম হা.
২১১১; সহীহ বুখারী হা. ৫৯৫৩)
আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন-
سمعت محمدا صلى
الله عليه وسلم يقول : من صور صورة في الدنيا كلف يوم القيامة أن ينفخ الروح وليس
بنافخ.
আমি
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যে কেউ দুনিয়াতে কোনো প্রতিকৃতি তৈরি করবে
তাকে কিয়ামতের দিন বাধ্য করা হবে যেন সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে, অথচ সে তা করতে সক্ষম হবে না। (সহীহ বুখারী হা. ৫৯৬৩; সহীহ মুসলিম হা. ২১১০)
সায়ীদ ইবনে আবুল হাসান রাহ. বলেন-
كنت عند ابن
عباس إذ جاءه رجل، فقال : يا ابن عباس! إني رجل إنما معيشتي من صنعة يدي، وإني
أصنع هذه التصاوير، فقال ابن عباس : لا أحدثك إلا ما سمعت من رسول الله صلى الله
عليه وسلم، سمعته يقول : من صور صورة فإن الله معذبه حتى ينفخ فيه الروح، وليس
بنافخ فيه أبدا، فربا الرجل ربوة شديدة وأصفر وجهه، فقال : ويحك، إن أبيت إلا أن
تصنع فعليك بهذا الشجر، كل شيء ليس فيه روح.
আমি (হযরত আব্দুল্লাহ) ইবনে আববাস রা.-এর কাছে
বসা ছিলাম। ইতিমধ্যে একজন লোক এসে তাঁকে বলল, হে ইবনে আববাস, আমি একজন হস্তশিল্পী, হাতে তৈরি প্রতিকৃতির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করি। (এই পেশা কি বৈধ?)
হযরত ইবনে আববাস রা. বললেন, আমি শুধু তোমাকে সে
কথাই বলব, যা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
কাছ থেকে শুনেছি। আমি তাকে বলতে শুনেছি, ‘যে কেউ কোনো প্রতিকৃতি
তৈরি করে আল্লাহ তাআলা তাকে আযাব দিবেন যে পর্যন্ত না সে তাতে প্রাণ দান করে,
অথচ সে প্রাণ দান করতে পারবে না।’ একথা শুনে সে অস্থির হয়ে পড়ল এবং
তার চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। তখন হযরত ইবনে আববাস রা. বললেন, ‘প্রতিকৃতিই যদি তৈরি করতে হয় তবে প্রাণহীন বস্তুর প্রতিকৃতি তৈরি করবে। (সহীহ
বুখারী হা. ২২২৫)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মানব বা প্রাণী আকৃতির পুতুল ঘরে ঢুকানো আর
মূর্তি প্রবেশ করানো একই বিধান। এসবই হারাম।মুহাক্কিক উলামায়ে কেরামদের মতে বাচ্চাদের
খেলনা স্বরূপও এসব মানব আকৃতি বা প্রাণীর পুতুল ব্যবহার বৈধ নয়।তবে কিছু উলামায়ে কেরামগন
এ মতের বিরোধিতা করেছেন।
তারা বলেছেন যে বাচ্চাদের জন্য খেলনা হিসেবে
পুতুল রাখা জায়েজ আছে।সুতরাং উক্ত বিষয়ে যেহেতু উলামায়ে কেরামের মাঝে মতোভেদ রয়েছে
তাই এমন ইখতিলাফী বিষয় থেকে দূরে থাকায় কাম্য।