আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
178 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওস্তাজ। আমরা তিন ভাই। বড় ভাইয়ের বয়স ২৫ বছর, আমার বয়স ২৩ বছর এবং ছোট ভাইয়ের বয়স ১০ বছর।
আমার আম্মুর অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় এবং পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে বিয়ের পরে আমার বাবা আম্মুর আকিকা করান। কিন্তু আকিকা করা হয় আমার বাবার নামানুযায়ী আম্মুর পরিবর্তিত নামে। যেমন আমার আম্মুর বিয়ের আগের নাম ছিল রাবেয়া সুলতানা। কিন্তু বিয়ের পর আমার বাবার নাম শেখ মিজানুর রহমান হওয়ায় আম্মুর পরিবর্তিত নাম রাবেয়া মিজান নামে আকিকা করা হয়। অর্থাৎ বিয়ের পরে এই স্বামীর নাম অনুযায়ী নাম পরিবর্তন করা কি বৈধ?
আর যদি অবৈধও হয় তবে এখন করণীয় কী? আবার আকিকা করতে হবে কি?

আর সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হলো আমাদের তিন ভাইয়ের যাবতীয় সকল সার্টিফিকেট,  মার্কশীট, জন্ম নিবন্ধন,  আমার এবং আমার বড় ভাইয়ের এন আই ডি কার্ড, এবং আমার বাবার যাবতীয় সকল ডকুমেন্টে আম্মুর বিয়ের পরের পরিবর্তিত নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

নাম পরিবর্তন করতে হলে কি এইগুলো ও পরিবর্তন করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (60,000 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আকিকা করা সুন্নত(সুন্নতে যায়েদা)।আকিকা করলে সওয়াব হবে,তবে ছেড়ে দিলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।

যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে

العقيقة عن الغلام وعن الجارية وهي ذبح شاة في سابع الولادة وضيافة الناس وحلق شعره مباحة لا سنة ولا واجبة كذا في الوجيز للكردري.

ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তান উভয়ের পক্ষ্য থেকে সপ্তম দিনে আকিকা করা হবে এবং যিয়াফত করানো হবে ও চুল মুন্ডানো হবে।এটা মুবাহ তথা সুন্নতে যায়েদা।সুন্নতে মু'আক্বাদা বা ওয়াজিব নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৬২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

( مَنْ وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَأَحَبَّ أَنْ يَنْسُكَ عَنْهُ فَلْيَنْسُكْ ، عَنْ الْغُلامِ شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ ، وَعَنْ الْجَارِيَةِ شَاةٌ )

যদি কারো সন্তান জন্ম নেয় এবং সে যদি পছন্দ করে আকিকা দিতে,তাহলে সে যেন বরাবর দুটি ছাগল দ্বারা ছেলের আকিকা করে।এবং একটি ছাগল দ্বারা মেয়ের আকিকা করে। (সুনানু আবু-দাউদ-২৮৪২)

فعلق النبي صلى الله عليه وسلم أمرها على محبة فاعلها، وهذا دليل على أنها مستحبة غير واجبة.

রাসূলুল্লাহ সাঃ উক্ত হাদিসে আকিকাকারীর মহব্বতের উপর বিষয়টাকে ছেড়ে দিয়েছেন।কাজেই বু্ঝা গেল,আকিকা করা সুন্নতে মুসতাহাব্বাহ এর অন্তর্ভুক্ত।ওয়াজিব নয়।করলে সওয়াব ও ফযিলত আছে।না করলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।(তুহফাতুল মাওলুদ-১৫৭)

 

ছেলের পক্ষ্য থেকে দুইটি ছাগল দ্বারা আকিকা করা এবং মেয়ের পক্ষ্য থেকে একটি ছাগল দ্বারা আকিকা করা মুস্তাহাব। আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/16352/?show=16352#q16352

 

প্রয়োজন হলে নাম পরিবর্তন করা যাবে। হাদীস শরীফে এসেছে-

بدل رسول الله صلي الله عليه و سلم إسم العاص بعبد الله

রাসূলুল্লাহ সা. আসের নাম আব্দুল্লাহ নাম দ্বারা পরিবর্তন করে দিলেন (সুনানে বায়হাকী ১৯৭৯৬)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. হ্যাঁ, বিয়ের পরে স্বামীর নাম অনুযায়ী নাম পরিবর্তন করা বৈধ।

২. না, আর আকিকা দেওয়া লাগবে না। পূর্বের আকিকাই সহীহ হয়ে গেছে।

৩. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটমার্কশীট, জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি পরিবর্তন করা লাগবে না


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...