জবাবঃ-
নামায ফরয বিধান।ইচ্ছাকৃত কা'যা করলে তারও শাস্তি হবে।তরক করলে এর চেয়েও বেশী শাস্তি সে পাবে।
নামাযকে তরক করা সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত বুরাইদ ইবনে হুসাইদ আল-আসলমী রাযি থেকে বর্ণিত,
بريده بن حصيب الأسلمي النبي ﷺ أنه قال: العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها فقد كفر. والحديث الثاني قوله ﷺ: بين الرجل وبين الكفرو الشرك ترك الصلاة.
রাসূলুল্লাহ সাঃ মুনাফিকদের লক্ষ্য করে বলেন,আমাদের আর তাদের(মুনাফিকদের)মধ্যকার চুক্তি হল,তারা জামাতের নামাযে শরীক হবে।যে ব্যক্তি নামাযকে ছেড়ে দিবে সে কাফির হয়ে যাবে।(মিশকাতুল মাসাবিহ-৫৭৪)
অন্য হাদীসে এসেছে,যে ঈমান আর কুফুরের মধ্যে পার্থক্য কারী হল,নামায।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
নামায ত্যাগ করলে গোনাহ হবে।প্রত্যেক নামাযকে তরক করার পৃথক পৃথক শাস্তির বিধান রয়েছে।এর জন্য উমরী কাযার নামায তথা অতীত জীবনের কা'যা নামায আদায় করতে হবে,এবং সাথে সাথে তাওবাহ করতে হবে।এর অর্থ এ নয় যে,কা'যা নামাযকে পড়ে শেষ করার পূর্বে ওয়াক্তের নামায পড়া যাবে না।বরং ওয়াক্তের নামায তো পড়তেই হবে।এবং অতীতের কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে।
মোটকথাঃ বর্তমানে নামায শুদ্ধ হওয়ার জন্য তাওবাহর প্রয়োজন নেই।তবে অতীতে নামায তরকের যে গোনাহ হয়েছে,সে গোনাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে অবশ্যই কা'যা এবং তাওবাহ করতে হবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.