আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
আমাদের মধ্যে যে সব মুসলিম ভাইয়েরা দীর্ঘদিন নামাজ পড়ত না। বয়স আনুমানিক ৩০ তখন থেকে নামাজ নিয়মিত পড়তে শুরু করেছে এই অবস্থা সে কি তাওবা ব্যতিত নামাজ শুরু করতে পারবে। না তাকে তওবা করেই নামাজ পড়া শুরু করতে হবে।

1 Answer

0 votes
by (589,560 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-
নামায ফরয বিধান।ইচ্ছাকৃত কা'যা করলে তারও শাস্তি হবে।তরক করলে এর চেয়েও বেশী শাস্তি সে পাবে।
নামাযকে তরক করা সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত বুরাইদ ইবনে হুসাইদ আল-আসলমী রাযি থেকে বর্ণিত,
بريده بن حصيب الأسلمي  النبي ﷺ أنه قال: العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها فقد كفر. والحديث الثاني قوله ﷺ: بين الرجل وبين الكفرو الشرك ترك الصلاة.
রাসূলুল্লাহ সাঃ মুনাফিকদের লক্ষ্য করে বলেন,আমাদের আর তাদের(মুনাফিকদের)মধ্যকার চুক্তি হল,তারা জামাতের নামাযে শরীক হবে।যে ব্যক্তি নামাযকে ছেড়ে দিবে সে কাফির হয়ে যাবে।(মিশকাতুল মাসাবিহ-৫৭৪)
অন্য হাদীসে এসেছে,যে ঈমান আর কুফুরের মধ্যে পার্থক্য কারী হল,নামায।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
নামায ত্যাগ করলে গোনাহ হবে।প্রত্যেক নামাযকে তরক করার পৃথক পৃথক শাস্তির বিধান রয়েছে।এর জন্য উমরী কাযার নামায তথা অতীত জীবনের কা'যা নামায আদায় করতে হবে,এবং সাথে সাথে তাওবাহ করতে হবে।এর অর্থ এ নয় যে,কা'যা নামাযকে পড়ে শেষ করার পূর্বে ওয়াক্তের নামায পড়া যাবে না।বরং ওয়াক্তের নামায তো পড়তেই হবে।এবং অতীতের কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে।

মোটকথাঃ বর্তমানে নামায শুদ্ধ হওয়ার জন্য তাওবাহর প্রয়োজন নেই।তবে অতীতে নামায তরকের যে গোনাহ হয়েছে,সে গোনাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে অবশ্যই কা'যা এবং তাওবাহ করতে হবে।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 655 views
...