জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো মনে তালাকের ওয়াসওয়াসা আসার দ্বারা তালাক হবে না। তবে মুখে তালাক দিলে তালাক হয়ে যাবে।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
إن الله تجاوز لأمتي عما لم تتكلم به أو تعمل به، وبما حدثت به أنفسها
‘নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মতের মনে যা উদয় হয় তা যতক্ষণ না সে মুখে বলে অথবা কার্যে পরিণত করে ততক্ষণ তা উপেক্ষা করেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২২০৯]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার উপর তালাক পতিত হয়নি।
আপনি বেশিরভাগই মনে মনে তালাক গ্রহন করেছেন,বা এমন ভাবে উচ্চারণ করেছেন যাহার আওয়াজ কান পর্যন্ত আসেনা, যাহা তালাকের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়।
মুখে যখন উচ্চারণ করেছেন,সেক্ষেত্রে আপনি নির্যাতনের সম্মুখীন ছিলেননা,ভরনপোষণ এর ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা ছিলোনা,তাই সেই তালাক পতিত হবেনা।
,
অনেক আগের সেই নির্যাতনকে তো আপনি নির্যাতনই মনে করেননি,আর তালাক উচ্চারণ এর সময় আপনার মনে এমন কিছুই ছিলোনা।
সর্বপরি আপনার উপর কোনো তালাক পতিত হয়নি।