আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।
আল্লাহ আমাদের জন্য কুরআনকে বানিয়েছেন উপদেশ ও শিফা এবং যারা চিন্তাভাবনা করে তাদের জন্য পথপ্রদর্শক। তবে আমার একটি প্রশ্ন আছে, আমি একটি হাদিস পেয়েছি সেটাতে কুরআনের সম্পর্কে নিজ খেয়াল খুশি মতো কথা বললে নিজের জন্য জাহান্নামকে আবাস বানিয়ে নেয়ার কথা বলা আছে। হাদিসটি নিম্নরূপঃ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ নিশ্চিতভাবে যা তোমাদের জানা আছে তা ব্যতীত আমার নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করা থেকে তোমরা নিবৃত্ত থাকবে। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে সে যেন জাহান্নামকে নিজের আবাস বানিয়ে নিল। আর যে ব্যক্তি নিজের খেয়াল মর্জিমত কুরআন প্রসঙ্গে কথা বলে সেও যেন জাহান্নামকে নিজের গৃহ বানিয়ে নিল।
মিশকাত (২৩৫), নাকদুত তাজ, সিফাতুস সালাত
আমার প্রশ্ন হলো, এখানে নিজ খেয়ালমতো কুরআন সম্পর্কে বলা কথা দ্বারা মূলত কেমন কথাকে বুঝানো হয়েছে?? এইটা কি কুরআন সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলাকে বুঝানো হয়েছে??
আলহামদুলিল্লাহ, এখন আমরা অনেকেই দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পরে কুরআন নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে শুরু করেছি। আমরা অনেক সময়ে কুরআনের আরবী, তর্জমা, তাফসীর অধ্যয়ন করার পরে নিজের জীবনে এই আয়াতকে প্রতিফলিত করি, হয়তো কোনো ঘটনা থেকে নিজে চিন্তা ভাবনা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেই, বা নিজের মতো ব্যাখ্যা করে কোনো শিক্ষা গ্রহণ করি যা অনেক সময়ই তাফসীরের অনুগামী হয় না, সেক্ষেত্রে কি এই হাদিসে যাদের সম্পর্কে সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে আমরা কি সেই লোকদের দলভুক্ত হয়ে যাবো??
এই হাদিসটার ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতে চাই ইন শা আল্লাহ। জাযাকাল্লাহ খাইরান শায়েখ।