জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
উক্ত সময় শুধু ফজরের ফরজই আদায় করতে হবে।
এমতাবস্থায় ফজরের সুন্নাত এর কাজা আদায় করার নিয়ম নেই।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত কাজটি ছহীহ।
,
(০২)
ফজরের সুন্নাত কাজা হলে হাদীস শরীফে তাহা সুর্য উদিত হওয়ার পর আদায়ের কথা উল্লেখ রয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
فى موطا مالك- وحدثني عن مالك أنه بلغه أن عبدالله بن عمرفاتته ركعتاالفجرفقضاهمابعدأنطلعت الشمس( موطا مالك النداءللصلاة،باب ماجاءفي ركعتي الفجر،رقم-422
অনুবাদ-হযরত ইমাম মালেক রহ: বলেন, আমি জেনেছি যে, আবদুল্লাহ বিন ওমর রা: এর ফজরের দুই রাকাআত ছুটে গিয়েছিল। তিনি তা সূর্যোদয়ের পর আদায় করেন। (মুয়াত্তা মালিক-৪৫)
وفى جامع الترمذى- عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يصل ركعتي الفجرفليصلهمابعدماتطلع الشمس (جامع الترمذى-أبواب الصلاةعن رسول الله صلى الله عليه وسلم، باب ماجاءفي إعادتهمابعدطلوع الشمس،رقم-423)
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬)
আরো জানুনঃ
সুতরাং সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করতে হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি বিনা ওযরে সুন্নাত ঠিক সময়ে আদায় না করা হয়,তাহলে গুনাহগার হতে হবে।
ওযর বশত এমনটি হলে গুনাহ হবেনা।
তবে এযর বশত ছেড়ে দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা যাবেনা।
,
সুতরাং ওযর বশত কোনো এক সময় ফজরের সুন্মাত আদায় না করতে পেলে তার কাজা আদায় না করলে গুনাহ হবেনা।
,
★জোহরের ওয়াক্ত হয়ে গেলে ফজরের সুন্নতের কাযা করার সুযোগ থাকেনা।
এটি সঠিক কথা।
,
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 57):
"(ولايقضيها إلا بطريق التبعية ل) قضاء (فرضها قبل الزوال لا بعده في الأصح)؛ لورود الخبر بقضائها في الوقت المهمل.
সারমর্মঃ
যাওয়ালের পূর্বেই তারা কাজা আদায় করবে।
যাওয়ালের পর তথা দ্বীপ্রহরের পর আর কাজা করা যাবেনা।
,
(০৩)
المحيط البرهاني في الفقه النعماني (1/ 505):
"إذا كرر التشهد في القعدة الأولى فعليه سجود السهو، وإن كررها في القعدة الثانية فلا".
সারমর্মঃ
যদি কেহ প্রথম বৈঠকে দুইবার তাশাহুদ পড়ে,তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
البحر الرائق شرح كنز الدقائق ومنحة الخالق وتكملة الطوري (2/ 105):
"لو كرر التشهد في القعدة الأولى فعليه السهو؛ لتأخير القيام، وكذا لو صلى على النبي صلى الله عليه وسلم فيها؛ لتأخيره،
সারমর্মঃ
যদি কেহ প্রথম বৈঠকে দুইবার তাশাহুদ পড়ে,তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে (কিয়ামে যাওয়া থেকে দেড়ি করার কারনে)।
ঐভাবে দরুদ শরীফ পাঠ করলেও সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২য় বৈঠকে এমনটি হলে কোনো সমস্যা নেই।
তবে ৪/৩ রাকাত বিশিষ্ট নামাজের প্রথম বৈঠকে এমনটি করলে যদি ভুল হওয়ার কারনে আবার পড়া হয়,তাহলে সমস্যা হবেনা।
আর যদি কোনো ওযর ছাড়াই,ভুল হওয়া ছাড়াই এটি পুনরায় পড়া হয়,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।