আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
463 views
in সালাত(Prayer) by (72 points)
শায়খ
আমি নামাজে সূরা ফাতিহার প্রথম আয়াত সম্পূর্ণ না করে আবার সূরা ফাতিহা শুরু থেকে পড়েছি।
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল পড়ে ,,,আলামীন এর অর্ধেক পড়ে   আবার আয়াতের শুরু থেকে পড়েছি।

কারণ নিঃশব্দের তিলাওয়াত এর জায়গায় উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করার সময় হঠাৎ মনে পড়ে যাওয়ায় এমনটা করেছি। (এরকম কখনো হলে সেক্ষেত্রে কি করণীয় সেটাও বলবেন)

 মূল প্রশ্ন হলো এক্ষেত্রে কি আমার সাহু সিজদা দেয়া উচিত ছিলো?

...........................................................

1 Answer

+2 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)

★শরীয়তের বিধান হলো নামাজে সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াজিব।
আর ওয়াজিবকে একাধিকবার আদায় করলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়।    

ফরজ নামাজে ইচ্ছাপূর্বক ভাবে কোনো ওযর ছাড়া সুরা ফাতেহার এক আয়াত দুইবার পড়া মাকরুহ। 
নফল নামাজে কোনো সমস্যা নেই।
ফরজ নামাজের প্রথম দুইরাকাতে বিনা ওযরে সুরা ফাতেহার অধিকাংশ আয়াত যদি দুইবার পড়া হয়,তাহলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
৩য়,৪র্থ রাকাতে হলে কোনো সমস্যা নেই।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
নামাজ হয়ে গিয়েছে।
,
তবে আস্তে কিরাআত বিশিষ্ট নামাজে জোড়ে পড়ার কারনে এরকম পড়লে সেই আয়াত পুনরায় আর আদায় করবেননা।
এক্ষেত্রে বিধান হলো যদি ছোট তিন আয়াত সমপরিমাণ আয়াত জোড়ে আওয়াজে পড়ে,তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 
নতুবা নয়।    

ولو کرر الفاتحة او بعضھا فی احدی الاولیین قبل السورة سجد للسہو ۔
(طحطاوی علی مراقی الفلاح ٤٦٠ باب سجود السہو)
সারমর্মঃ
যদি ১ম দুই রাকাতে সুরা ফাতেহা বা তার কিছু আয়াত অন্য সুরা পড়ার আগে (বারংবার পড়ে),পুনরায় পড়ে,তাহলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।  
  
ولو قرأھا في رکعۃ من الأولیین مرتین وجب سجود السہو لتاخیر الواجب الخ، وکذا لو قرأ أکثرھا ثم أعادھا کما في الظہیریۃ۔ (شامی زکریا ۲؍۱۵۲)
সারমর্মঃ
নামাজের প্রথম দুইরাকাতে সুরা ফাতেহা যদি দুইবার পড়া হয়,তাহলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
একইভাবে যদি সুরা ফাতেহার অধিকাংশ আয়াত আবার পড়া হয়,তাহলেও সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।      
,
 ولو قرأ الحمد فی الأخریین مرتین لا سہو علیہ۔ (بدائع الصنائع ۱؍۴۰۶)
যদি শেষ দুই রাকাত (৩য়,৪র্থ রাকাত) এ সুরা ফাতেহা বারবার পড়ে,তাহলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা। 

وینبغي أن یقید ذٰلک بالفرائض؛ لأن تکرار الفاتحۃ في النوافل لم یکرہ، کما في القہستاني۔ (مجمع الأنھر ۱؍۲۲۰)
সারমর্মঃ
নফল নামাকে সুরা ফাতেহা বারবার পড়া মাকরুহ নয়।
,  
’إذا کرر آیۃ واحدۃ مرارًا إن کان في التطوع الذی یصلیہ وحدہ فذالک غیر مکروہ، وإن کان في الفریضۃ فہو مکروہ ، وھذا في حالۃ الاختیار اما في حالۃ العذر والنسیان فلا باس بہ ، تتمات فیما یکرہ من القرأۃ في الصلاۃ۔ ( کبیری : ٤٦٢)
সারমর্মঃ
ফরজ নামাজে সুরা ফাতেহার এক আয়াত দুইবার পড়া মাকরুহ।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...