আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
যদি কোনো ব্যক্তির মনে কুফরি নাই দাবি করে থাকে এবং নিজেকে ধার্মিক দেখায় কিন্তু যদি সে প্রকাশ্যে কোনো কুফরি কাজ করে বা কুফরি কথা বলে তাহলে কি তার বাহ্যিক অবস্থা দেখে তাকে কাফের বলা যাবে? তাকফির করা যাবে ? কোন ফরয বিধান নিয়ে এবং আমাদের নবীর কোন সুন্নাত নিয়ে ঠাট্টা বা কুফরী করে যেমন, কেউ মুখে বলল যে, "পর্দা বিষয়টি আলেমদের বাড়াবাড়ি, নামাজ একটি অযথা কাজ , মানবরচিত বিধান ভালো , বর্তমান দাড়ি রাখা ঠিক না । এতে কি তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে না সাধারণ ঈমান থাকবে ? তাহলে তাকে কি তাকফির করা যাবে বাহ্যিক দিক দেখে ? এ ক্ষেত্রে কি তার মনে কি আছে এটি জানতে হবে না বাহ্যিক দিক বিবেচনা করতে হবে ? যদি ঈমানদার হ‌ওয়ার অভিনয় করে তাহলে কি বাহ্যিক দিক দেখে তাকফির করতে হবে ?

1 Answer

0 votes
by (581,910 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5807 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
পারিভাষিকভাবে কুফুরকে পরিচয় করাতে গিয়ে নানাজন নানা শব্দে একে উল্লেখ করেছেন। শব্দ ভিন্ন হলেও একটু গভীরভাবে দেখলে বুঝা যাবে মর্মগতভাবে সবগুলো আসলে একই অর্থ ধারণ করছে। যেমন, আল্লামা ইবনে হাজম রহ. বলেছেন : আল্লাহ তাআলার রুবুবিয়্যাতকে অস্বীকার করা, কুরআনুল কারীমে যে সকল নবীর নুওয়াত প্রমাণিত হয়েছে, তাদের কোন একজনের নবী হওয়াকে অস্বীকার করা, কিংবা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সকল বিষয় নিয়ে এসেছেন, সেগুলো থেকে এই অস্বীকারকারীর নিকট যেগুলো বিরাট দলের বর্ণনার দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে, তার কোন কিছুকে অস্বীকার করা; অথবা, এমন কোন কাজ করা, যার কুফুরী হওয়ার ব্যাপারে অকাট্য প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে—এমন সব কিছুর জন্য আল্লাহ তাআলা ‘কুফরুন’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। (আল ফাসল ফিল মিলাল ওয়াল আহওয়া ওয়াননিহাল, ৩:১১৮)

এখানে অস্বীকার করার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো স্বীকার না করা। সুতরাং যদি এমন হয়, একজন লোক এগুলোকে অস্বীকার করে না, আবার স্বীকারও করে না; হয়তো সে বিশ্বাস করে না, বা তার সন্দেহ আছে; তাই সে চুপ থাকে ও এড়িয়ে চলে, তাহলে সেও কাফের বলে বিবেচিত হবে। ইবনে তাইমিয়া রহ. এর সংজ্ঞার মধ্যে এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। (মাজমুউল ফাতওয়া, ১৩:৩৩৫)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কোন ফরয বিধান নিয়ে এবং আমাদের নবীর কোন সুন্নাত নিয়ে ঠাট্টা বা কুফরী করে যেমন, কেউ মুখে বলল যে, "পর্দা বিষয়টি আলেমদের বাড়াবাড়ি, নামাজ একটি অযথা কাজ , মানবরচিত বিধান ভালো , বর্তমান দাড়ি রাখা ঠিক না ।

এসব কথা মুখ দ্বারা কেউ বললে, যদিও তার অন্তরে এসব কথা না থাকে, তাহলেও তার ঈমান চলে যাবে।





(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...