ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
একজনের পাপের বোঝা অন্যজন বহন করবে না।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
إِن
تَكْفُرُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ عَنكُمْ ۖ وَلَا يَرْضَىٰ لِعِبَادِهِ
الْكُفْرَ ۖ وَإِن تَشْكُرُوا يَرْضَهُ لَكُمْ ۗ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ
أُخْرَىٰ ۗ ثُمَّ إِلَىٰ رَبِّكُم مَّرْجِعُكُمْ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ
تَعْمَلُونَ ۚ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
যদি তোমরা অস্বীকার কর, তবে আল্লাহ তোমাদের থেকে বেপরওয়া। তিনি তাঁর বান্দাদের কাফের
হয়ে পড়া পছন্দ করেন না। পক্ষান্তরে যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও, তবে তিনি
তোমাদের জন্যে তা পছন্দ করেন। একের পাপ ভার অন্যে বহন করবে না। অতঃপর তোমরা
তোমাদের পালনকর্তার কাছে ফিরে যাবে। তিনি তোমাদেরকে তোমাদের কর্ম সম্বন্ধে
অবহিত করবেন। নিশ্চয় তিনি অন্তরের বিষয় সম্পর্কেও অবগত।
(সূরা ঝুমার, আয়াত
৭)
নামাজ পড়া ফরজ। আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَأَقِيمُوا
الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ الرَّاكِعِينَ
আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত
হয়। ( সূরা বাকারা, আয়াত ৪৩)
অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেন-
فَصَلِّ
لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী
করুন। (সূরা কাউসার, আয়াত ২)
যে ব্যক্তি
স্বেচ্ছায় নামাজ ত্যাগ করে তার থেকে (আল্লাহর ) যিম্মদারি উঠে যায়।
হাদীস শরীফে
এসেছে-
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي
خَلِيلِي ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ " وَلاَ تَتْرُكْ صَلاَةً
مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ
الذِّمَّةُ وَلاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ "
.
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার প্রিয় বন্ধু
(রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
আমাকে এই উপদেশ
তুমি স্বেচ্ছায় ফরয নামায ত্যাগ করো না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা ত্যাগ করে তারথেকে
(আল্লাহর ) যিম্মদারি উঠে যায়। তুমি মদ্যপান করো না। কেননা তা সর্বপ্রকার অনিষ্টের
চাবিকাঠি। (সুনানে ইবনে মাজাহ ৪০৩৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তার ঈমান নষ্ট হবে না । তবে নামাজ না
পড়ার কারণে তার গোনাহ হবে। আর তার নামাজ না পড়ার গোনাহ তারই হবে ; তার স্ত্রীর নয়।