আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আমার পরিবারে ইসলাম পালন করা খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করে দ্বীনে ফিরায় বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সন্দেহ করছে। আমাকে জোর করে আমার দাড়ি ফেলে দেওয়া হয়েছে এবংং মসজিদে জামাতে নামায পড়া বন্ধ করে দিয়েছে। তা না মানলে আমার পরিবার ভেঙ্গে যাবে। এখন আমার কি দাড়ি না রাখার কারণে কি গুনাহ হবে? বাসায় নামায পড়লে কি গুনাহ হবে? বাবা-মাকে পূর্ণ আনুগত্য করব নাকি চলে যাব?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চার মাযহাব মতে সহীহ সুন্নাহর আলোকে একমুষ্টি পরিমান দাড়ি রাখা ওয়াজিব।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1039 
اللحية لغة: الشعر النابت على الخدين والذقن، والجمع اللحى واللحى.......... واللحية في الاصطلاح، قال ابن عابدين: المراد باللحية كما هو ظاهر كلامهم الشعر النابت على الخدين من عذار، وعارض، والذقن
শাব্দিকভাবে দাড়ি বলা হয়,ঐ চুল যা দুনু গাল এবং থুতনিতে থাকে।বহুবচন হল,লুহা।পরিভাষায় দাড়ি বলা হয়,যা ইবনে আবেদীন শামী রাহ, বলেছেন,দুনু গাল,কানপট্টির উপর,গালের সামনের অংশ,এবং থুতনি সবকিছুকেই মূলত দাড়ি বলা হয়ে থাকে। 

দাড়িকে আরবীতে লিহইয়া (لحية) বলা হয় । এর আভিধানিক অর্থ হলো থুতনিসহ মুখের দুই পাশের ওই হাড়, যার ওপর দাঁতগুলো অবস্থিত। প্রাপ্ত বয়সে ওই হাড়ের ওপর যে লোম বা কেশ গজায়, ওই লোম বা কেশগুলোকেই হাড়ের নামকরণে লিহইয়া বলা হয়।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১৯/৩৯৬)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অাপনি মাতাপিতা বা পরিবারের কোনো কথা এ ব্যাপারে শুনবেন না।আপনি রাখবেন।কেননা দাড়ি রাখা মুসলমান হওয়ার আলামত।আল্লাহ আপনাকে তাওফাক দান করুক।আমীন। হ্যা, এরকম কথা বলার কারণে আপনার মায়ের গোনাহ হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1723

দ্বীন পালনে বাধা প্রদান মূলক কারো কথাকে মানা যাবে না।এতে যদি আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্টও হয়,তাতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...