আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
১) দাড়ি রাখা নিয়ে বেশ কিছু ফতোয়া শোনা যায়, কারো মতে ফরজ, কারো মতে ওয়াজিব, কারো মতে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। হানাফি ফিকহ মতে এটা ওয়াজিব শুনেছি। আমার নিজের জ্ঞানের জন্যে জানতে চাই, কোন মাযহাব বা কাদের মতে ফরজ, ওয়াজিব ও মুয়াক্কাদাহ। অনুগ্রহ করে আমার ব্যাক্তিগত জ্ঞানের জন্যে তথ্য দিয়ে উপকার করবেন।
২) কোন কারনে দাড়ি রাখাকে ওয়াজিব করা হয়েছে? কি কি হাদিস, বা সাহাবাগনের কোন কোন ঘটনার কারনে দাড়িকে ওয়াজিব বলা হয়েছে?
৩) কি কারনে আমরা দাড়ি এক মুষ্ঠি পরিমাণ রাখি?
৪) অনেকে দাড়ি একদম ছেড়েদেন। অনেকে দাড়ি ছোট রাখেন। এর পেছনে মাসালা কি?
৫) কতটুক পরিমাণ দাড়ি রাখলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে ও কতটুখ রাখতেই হবে সুন্নাহ হওয়ার জন্যে?

৬) একজন বক্তা বলেছেন যে কুরআনের সকল নবীদের দাড়ি আছে, এই কারনেই দাড়ি রাখা সুন্নাত। অন্য কোন কারনে না, হাদিসে কারনে না। এই কথা শুনে আমি উত্তর দিয়েছিলাম যে, আমরা যতজন নবীর কথা শুনি তাদের সবারই তো বড় চুল ছিলো। এই জন্যে তো বড় চুল আমাদের জনে সুন্নাহ বা ওয়াজিব হয়ে যায়নি। কুরআনের অনেক নবী রাসূলগনের অনেক বিষয় আছে। কিন্তু সব কিছু আমাদের জন্যে আঈন না। হাদিস এর মাধ্যমে স্পষ্ট দাড়ি রাখতে রাসূলুল্লাহ আদেশ দিয়েছেন তাই আমরা দাড়ি রাখি। আমার উত্তর কি ঠিক আছে? আর কিভাবে এর উত্তর দেওয়া যায়?

৭) আমাদের মসজিদে ইমাম সাহেব দাড়ি নিয়ে সম্পুর্ন ওয়াজ করাতে কিছু মানুষ রেগে যান। পরে তারা নিজেরা না না আলাপ করেন। কেন ইমাম বার বার দাড়ি রাখতে বললেন। ইত্যাদি না না বাজে কথা। এই বিষয় তাদের কি গুনাহ হবে? তাদের জন্যে ফতোয়া কি ও তাদের কি ইমাম সাহেবের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে?
৮) সরকারের ভয়ে বা দাড়ি রাখলে রাস্তায় ক্ষতি হবে এই ভয়ে কি কেউ দাড়ি কাটতে পারে?
৯) চেহারার চাপার ওপরের হাড়ের অংশের দাড়ি কাটা যাবে?
১০) মোচ/গোফ একদম ছাটাও করা যাবে? নাকি কিছু কিছু রাখতে হবে?

১১) রাসূল (স) ও সাহাবীদের সময় তো ক্লিন সেভের ব্যবস্থা ছিলো না, কিন্তু বর্তমানে অনেকে গোফ ক্লিন শেভ করে। এটা কি করা যায়?
১২) ঠোটের নিচের দাড়ি মুখে চলে আসে সমস্যা করে। ঠোটের নীচে ছোট দাড়ি। সেটুক কি কাটা যাবে?
প্রশ্নটা অনেক বড় হয়েগেছে তাই পয়েন্ট করে দিয়েছি। ক্ষমা করবেন ভুল ত্রুটির জন্যে।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
রাসূল সাঃ এর সকল আমলকে আদর্শ সাব্যস্ত করে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا [٣٣:٢١

যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে,তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে। {সূরা   আহযাব-২৩}

একমুষ্টি পরিমান দাড়ি রাখা চার মাযহাব মতে ওয়াজিব।
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,

 ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ – ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : " ﺃﻧﻬﻜﻮﺍ ﺍﻟﺸﻮﺍﺭﺏ ﻭﺃﻋﻔﻮﺍ ﺍﻟﻠﺤﻰ "

তরজমাঃ- নবী কারীম সাঃ বলেন,তোমরা  গোঁফকে ছাটাই করো ,এবং দাড়িকে বাড়ার জন্য ছেড়ে দাও।
(সহীহ বুখারী-৫৪৪৩,সহীহ মুসলিম-৬০০)

দাড়ি মুন্ডানো হারাম।এবং একমুষ্টি থেকে কম দাড়ি রেখে অবশিষ্ট দাড়ি ছাঁটাই করাও হারাম।
এতে কবীরা গুনাহ হবে। 
(জাওয়াহিরুল ফিকহ-৭/১৬০)

عن ابن عمر  : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( خالفوا المشركين وفروا اللحى وأحفوا الشوارب  . وكان ابن عمر إذا حج أو اعتمر قبض على لحيته فما فضل أخذه

হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা মুশরিকদের বিরোধীতা কর। দাড়ি লম্বা কর। আর গোঁফকে খাট কর।
আর ইবনে ওমর রাঃ যখন হজ্ব বা ওমরা করতেন, তখন তিনি তার দাড়িকে মুঠ করে ধরতেন, তারপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৫৫৩}

আরো জানুনঃ 
,
کان حلق اللحیۃ محرّما عند ائمۃ المسلمین المجتہدین أبی حنیفۃ، ومالک، والشافعی، وأحمد وغیرھم -رحمہم اللہ تعالیٰ-“․ (المنہل العذب المورود، کتاب الطہارۃ، أقوال العلماء فی حلق اللحیۃ واتفاقہم علی حرمتہ: 1/186، موٴسسۃالتاریخ العربی، بیروت، لبنان) 

সারমর্মঃ চার মাযহাব এই বিষয়ে একমত যে সমস্ত মুসলমান মুজতাহিদিনের নিকটে দাড়ি কাটা হারাম।
۔
وأما تقصیرُ اللحیۃ بحیثُ تصیرُ قصیرۃ من القبضۃ، فغیرُ جائزٍ فی المذاھب الأربعۃ“․ (العرف الشذی، کتاب الآداب، باب ما جاء فی تقلیم الأظفار، 4/162، دار الکتب العلمیۃ) 
এক মুষ্ঠি থেকে কম রেখে দাড়ি কাটা চার মাযহাবের সম্মতিক্রমে নাজায়েজ।  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
চার মাযহাবের সমস্ত ইমামদের নিকটে এক মুষ্ঠি থেকে কম রেখে দাড়ি কাটা নাজায়েজ।
কেউ এটিকে হালকা বিধান বলেননি।
চার মাযহাব এই বিষয়ে একমত যে সমস্ত মুসলমান মুজতাহিদিনের নিকটে দাড়ি কাটা হারাম।

(০২)
হাদীস ও সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী দাড়ি রাখা ওয়াজিব। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়ি রাখার আদেশ করেছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোঁচ কাটার ও দাড়ি লম্বা করার আদেশ করেছেন।’

إنه أمر بإحفاء الشوارب وإعفاء اللحية

(সহীহ মুসলিম ১/১২৯)

বিভিন্ন হাদীসে আদেশের শব্দগুলোও বর্ণিত হয়েছে। যেমন-

خالفوا المشركين، وفروا اللحى واحفوا الشوارب

‘মুশরিকদের বিরোধিতা কর। দাড়ি বাড়াও ও মোচ কাট।’

(আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে বুখারী ২/৮৭৫)

خالفوا المشركين، واحفوا الشوارب وأوفوا اللحى

‘মুশরিকদের বিরোধিতা কর এবং মোচ কাট ও দাড়ি পূর্ণ কর।’ (ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে মুসলিম ১/১২৯)

انهكوا الشوارب واعفوا اللحى

 মোচ উত্তমরূপে কাট এবং দাড়ি লম্বা কর। (ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে বুখারী ২/৮৭৫)

جزوا الشوارب وارخوا ا للحى، خالفوا المجوس

মোচ কাট ও দাড়ি ঝুলিয়ে দাও, অগ্নিপূজারীদের বিরোধিতা কর।’ (আবু হুরায়রা রা.-এর সূত্রে মুসলিম ১/১২৯)

جاء رجل من المجوس إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم قد حلق اللحية وأطال شاربه فقال له النبي صلى الله عليه وسلم ما هذا؟ قال : هذا في ديننا، قال : لكن في ديننا أن نجز الشارب وأن نعفي اللحية.

বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম উবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উতবা রাহ. বলেন, জনৈক অগ্নিপূজক আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসেছিল। তার দাড়ি মুন্ডানো ছিল ও মোচ লম্বা ছিল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘এটা কী?’ সে বলল, ‘এটা আমাদের ধর্মের নিয়ম।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘কিন্তু আমাদের দ্বীনের বিধান, আমরা মোচ কাটব ও দাড়ি লম্বা রাখব।’

(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১৩/১১৬-১১৭, হাদীস : ২৬০১৩)

(০৩)
এক মুষ্ঠির অতিরিক্ত অংশ কাটার সুযোগ শরীয়তে রয়েছে। হাদীসের কিতাবে পাওয়া যায়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
عن ابن عمر  : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( خالفوا المشركين وفروا اللحى وأحفوا الشوارب  . وكان ابن عمر إذا حج أو اعتمر قبض على لحيته فما فضل أخذه

হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা মুশরিকদের বিরোধীতা কর। দাড়ি লম্বা কর। আর গোঁফকে খাট কর।
আর ইবনে ওমর রাঃ যখন হজ্ব বা ওমরা করতেন, তখন তিনি তার দাড়িকে মুঠ করে ধরতেন, তারপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৫৫৩}

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. ও হযরত আবু হুরায়রা রা. এক মুষ্ঠির অতিরিক্ত অংশ কেটেছেন।

আবু যুরআ রাহ. বলেন, আবু হুরায়রা রা. তাঁর দাড়ি মুঠ করে ধরতেন। এরপর এক মুষ্ঠির অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন।
(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১৩/১১২, হাদীস : ২৫৯৯২; ২৫৯৯৯)

নাফে রাহ. বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. মুষ্ঠির অতিরিক্ত দাড়ি কেটে ফেলতেন।(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা হাদীস : ২৫৯৯৭)

হাসান বসরী রাহ. বলেন, তাঁরা (সাহাবা-তাবেয়ীগণ) মুষ্ঠির অতিরিক্ত দাড়ি কাটার অবকাশ দিতেন।
(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১৩/১১২, হাদীস : ২৫৯৯৫)

(০৪)
একদম ছেড়ে দেয়াও জায়েজ আছে।
তবে পরিচর্যা করতে হবে।
আর সেটি কেহ যেনো সুন্নাতের প্রতি অবজ্ঞা না করে,সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এক মুষ্ঠি থেকে কম রেখে দাড়ি কাটা হারাম।

সুতরাং এক মুষ্ঠি থেকে কম দাড়ি রাখলে,বাকি অংশ কেটে ফেললে সেটি দাড়ি নয়।

(০৫)
সবদিকেই এক মুষ্ঠি রাখা ওয়াজিব।

(০৬)
আপনার উত্তর সঠিক নয়।
ইসলাম নিয়ে এ ধরনের মনগড়া বক্তব্য প্রদানের অনুমতি শরীয়ত দেয়নি।

দাড়ি ওয়াজিব হওয়ার পিছনে নবিদের আমল ব্যাতিত অনেক হাদীসও আছে।

আর নবিদের আমল ও হাদীস অনুপাতে বাবরি চুল রাখা সুন্নাত।
তবে সেটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নয়,যে না রখলে গুনাহ হবে।

(০৭)
হ্যাঁ, তাদের গুনাহ হবে।

আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে, ভবিষ্যতে আর এমনটি করা যাবেনা।

ইমামমে সাহেবের বয়ানের প্রেক্ষিতে যেহেতু তারা রেগে গিয়েছেন,তাই ইমাম সাহেবের কাছে থেকেও ক্ষমা চাইতে হবে। 

★ইমাম সাহেব শরীয়তের বিধান বলবেন,এক্ষেত্রে তাকে বাধা দেয়া,রেগে যাওয়া মারাত্মক ও চরম পর্যায়ের অন্যায়।

(০৮)
না,কাটতে পারবেনা।

(০৯)
দাড়ির সীমানা হলো গালের শেষ ভাগে এবং গলার শুরু ভাগে বাম কান থেকে ডান কান পর্যন্ত বিস্তৃত লম্বা হাড্ডিতে গজানো চুল হলো দাড়ির সীমারেখা। বাকিটা দাড়ি নয়। থুতনির উপরের ছোট চুল কাটাও উচিত নয়।

 (  وفى المعجم الوسيط- (اللحي ) منبت اللحية من الإنسان وغيره وهما لحيان والعظمان اللذان فيهما الأسنان من كل ذي لحى (المعجم الوسيط – باب اللام 

যার সারমর্ম হলো হাড্ডির উপরে গজানো অংশ দাড়ি,তার দুই পার্শে যা আছে,সেটা দাড়ির সীমানার বাহিরে অন্তর্ভুক্ত ।   
,
গালের উপরিভাগে গজানো চুল দাড়ি নয়। তাই এসব কাটা যাবে। সমস্যা নেই।

দাড়িকে আরবীতে লিহইয়া (لحية) বলা হয় । এর আভিধানিক অর্থ হলো থুতনিসহ মুখের দুই পাশের ওই হাড়, যার ওপর দাঁতগুলো অবস্থিত। প্রাপ্ত বয়সে ওই হাড়ের ওপর যে লোম বা কেশ গজায়, ওই লোম বা কেশগুলোকেই হাড়ের নামকরণে লিহইয়া বলা হয়।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১৯/৩৯৬)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(১০)
মোচ/গোফ একদম ছাটাও করা যাবে।

(১১)
এটা করা যাবে,তবে কেচি দিয়ে কাটা উত্তম।

فى رد المحتار– وَاخْتُلِفَ فِي الْمَسْنُونِ فِي الشَّارِبِ هَلْ هُوَ الْقَصُّ أَوْ الْحَلْقُ ؟ وَالْمَذْهَبُ عِنْدَ بَعْضِ الْمُتَأَخِّرِينَ مِنْ مَشَايِخِنَا أَنَّهُ الْقَصُّ .

قَالَ فِي الْبَدَائِعِ : وَهُوَ الصَّحِيحُ .

وَقَالَ الطَّحَاوِيُّ : الْقَصُّ حَسَنٌ وَالْحَلْقُ أَحْسَنُ ، وَهُوَ قَوْلُ عُلَمَائِنَا الثَّلَاثَةِ نَهْرٌ (رد المحتار -كِتَابُ الْحَجِّ بَابُ الْجِنَايَاتِ الْجِنَايَةُ  ج 8 / ص 411)
সারমর্মঃ-
মোঁচ কেটে ফেলা ও মুন্ডন করা কোনটি সুন্নাত,এই বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে। 
কিছু মুতাআখখিরিন আলেমদের মতে মোঁচ মুন্ডন করা সুন্নাত।
ইমাম তহাবী রহঃ বলে মোঁচ কেটে ফেলা ভালো, মুন্ডন করা অধিক ভালো।

(১২)
না,কাটা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (17 points)
#ওলী উল্লাহ হুজুর দয়া করে যদি উত্তর দিতেন
হুজুর আপনি ওসওসার কথা বলতেছেন সেটা বুঝলাম, কিন্তু আপনার কথা ও তো স্পষ্ট বুঝতেছি না। আপনি তো একটিভ, আমার উত্তর দিতে তো আপনআর বেশিক্ষন লাগারও কথা না। কিন্তু উত্তর ও দিচ্ছেন না। দয়া করে যদি উত্তর দিতেন

https://ifatwa.info/89710/ হুজুর উক্ত লিংকের প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে
লিখা আছে, "তার জন্যে করণীয়......এর পরে" "না দিবে না"
একি লাইনে দুইবার না লিখেছেন আমার বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। নিচে আপনার উত্তর টি কপি করে দিলাম


"★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাবার কথা মোতাবেক কাজ না করলে ওয়াদা খেলাফি হবে।

তবে এক্ষেত্রে যেহেতু স্ত্রীকে তালাক দেয়ার শরীয়ত সম্মত কারন নেই,তাই এহেন অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেয়াও জায়েজ নেই।


তার জন্য করনীয় হলো স্ত্রীকে তালাক না দিবেনা। ওয়াদা খেলাফির গুনাহের জন্য বাবার কাছে ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে।


*আর এই রকম মাসয়ালা জানার জন্যে ওই বিশেষ শব্দটি বলার বা লিখার সময় স্ত্রীর কথা স্মরণ হলে কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)
------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ"
by (17 points)
#ওলী উল্লাহ হুজুর দয়া করে যদি উত্তর দিতেন


হুজুর আপনি ওসওসার কথা বলতেছেন সেটা বুঝলাম, কিন্তু আপনার কথা ও তো স্পষ্ট বুঝতেছি না। আপনি তো একটিভ, আমার উত্তর দিতে তো আপনআর বেশিক্ষন লাগারও কথা না। কিন্তু উত্তর ও দিচ্ছেন না। দয়া করে যদি উত্তর দিতেন

https://ifatwa.info/89710/ হুজুর উক্ত লিংকের প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে
লিখা আছে, "তার জন্যে করণীয়......এর পরে" "না দিবে না"
একি লাইনে দুইবার না লিখেছেন আমার বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। নিচে আপনার উত্তর টি কপি করে দিলাম


"★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাবার কথা মোতাবেক কাজ না করলে ওয়াদা খেলাফি হবে।

তবে এক্ষেত্রে যেহেতু স্ত্রীকে তালাক দেয়ার শরীয়ত সম্মত কারন নেই,তাই এহেন অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেয়াও জায়েজ নেই।


তার জন্য করনীয় হলো স্ত্রীকে তালাক না দিবেনা। ওয়াদা খেলাফির গুনাহের জন্য বাবার কাছে ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে।


*আর এই রকম মাসয়ালা জানার জন্যে ওই বিশেষ শব্দটি বলার বা লিখার সময় স্ত্রীর কথা স্মরণ হলে কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)
------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ"

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...