ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যেহেতু এ ছাড়া আর কোনো পথ খুলা নেই,বরং এভাবেই আপনাকে ব্যান্ডেজ করতেই হবে, তাই আপনার শরীর ঐ তুলা দ্বারা ঘর্ষণের ফলে নাপাক হবে না।হ্যা, সতর্কতা এটাই যে, ডাক্তার রোগী তখন বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবেন,যাতেকরে ক্ষতের নাপাকি ভালো স্থানে না লাগে।চেষ্টার পরও যদি ডাক্তার আপনার কথা না শুনে,এবং ক্ষতের নাপাকিকে ভালো স্থানে মিশিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়,তাহলে আপনার শরীর নাপাক হবে না।এবং পরবর্তীতে আপনি শুধু ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করে নিলেই হবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ
তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। (সূরা হাজ্ব-৭৮)এক্ষেত্রে তেলাওয়াত কারীই গোনাহগার হবেন।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪/৮৬)
আল্লাহ তা'আলা সামর্থ্যর অধিক দায়িত্ব কাউকে দেননা।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে।(সূরা বাকারা-১৮৬)
(২)
যদি পানি প্রবাহিত করার পরও রক্ত নিজের জায়গায় থাকে,পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে শরীরের অন্যত্র না লাগে, তাহলে আপনার শরীর নাপাক হবে না।
(৩)
এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য নাপাক কাপড় কে হাত দ্বারা ধৌত করে নিবেন।এছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই।