ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃ যে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার মুহূর্তে যদি প্রাতিষ্টানিক নিয়ম থাকে যে, স্বাভাবিক পরীক্ষার মত গোগল করা যাবে না,কিতাব দেখা যাবে না বা কাউকে জিজ্ঞেস করাও যাবে না,তাহলে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার মুহূর্তে গুগল করা বা কিতাব দেখা জায়েয হবে না। এটা প্রকাশ্য ধোকা ও প্রতারণা হয়ে যাবে।সুতরাং এত্থেকে আমাদের সবাইকে বেচে থাকতে হবে। যদি কেউ এভাবে ধোকা ও প্রতারণার মাধ্যমে সার্টিফিকেট নেয়, তাহলে সেই সার্টিফিকেট ব্যবহার করাও জায়েয হবে না।হ্যা, কেউ উক্ত সার্টিফিকেট ব্যবহার করার পর যদি নিষ্টার সাথে দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়,তাহলে তার ইনকাম হারাম হবে না।
(২)
এক্সামের সময় দেখে লিখার জন্য যদি কেউ খাতার পিক চায়, তাহলে তাকে খাতার পিক তুলে প্রেরণ করা জায়েয হবে না।কেননা পরীক্ষায় নকল করা বা অন্যকে নকল করার সুযোগ প্রদান করা কেনোটাই জায়েয না।
(৩)
যদি সবাই বেশী মার্কের জন্য নকল করে,তাহলে আপনার জন্য রুখসত হতে পারে,তবে সবাই যে নকল করছে তার নিশ্চিয়তা থাকতে হবে। কোনো একজন বাকী থাকতে পারবে না। কেননা তখন আপনি ভাল ছাত্র হওয়ার পরও আপনার থেকে নিম্নমানের অযোগ্যজন আপনার থেকে এগিয়ে যাবে।
আর আজিমত হল, তখনও নকল না করা।এবং এটাই উত্তম।
ফেইল হয়ে যাবে,দুয়েক মার্ক পেলে পাশ হবে,এমন পরিস্থিতিতে নকল করা যাবে না।যদি আর কেউ না করে।