আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (29 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার কাছে এক পরিচিত আপু এটা জিজ্ঞেস করেছিলো যে অনলাইন এক্সামে তো সবাই ফ্রেন্ড দের থেকে হেল্প নিয়ে বা শিট থেকে হেল্প নিয়ে লিখে, ম্যাক্সিমাম ই। তো এক্ষেত্রে সেও দেখে / হেল্প নিয়ে কিছু লিখতে পারবে কিনা। এই ২/১ মার্ক এর জন্য গুনাহ হবে কিনা। আমার জানা মতে এটা নাজায়েজ।  তাও আমি ifatwa থেকে একটা ফতোয়া নিয়ে আপুকে দেই যেটার সাথে প্রশ্ন মিলে যায়, কিন্তু উত্তর গুলো তে মনে হচ্ছে টাইপিং মিস্টেক হয়েছে,  আমি আসলে বুঝতে পারছি না এটা আসলেই উত্তর নাকি টাইপিং মিস্টেক এর জন্য এমন হয়েছে।
যেমনঃ জায়েজ হবে না " এ জায়গায় জায়েজ হবে" এমন কিছু। https://ifatwa.info/22757/
এটা একটু দেখবেন, এটার ৩ টা পয়েন্ট ই জানার ছিলো।  সার্টিফিকেট, সবাই দেখে লিখলে সেও দেখে লিখতে পারবে কিনা, এটার মধ্যে কনফিউশন লাগছে।

আর কারো যদি এমন হয় সেই ২/১ মার্ক এর জন্য পাশ এসে যায় এ অবস্থাতে দেখতে পারবে কিনা।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://ifatwa.info/22757 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)

হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃ যে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার মুহূর্তে যদি প্রাতিষ্টানিক নিয়ম থাকে যে, স্বাভাবিক পরীক্ষার মত গোগল করা যাবে না,কিতাব দেখা যাবে না বা কাউকে জিজ্ঞেস করাও যাবে না,তাহলে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার মুহূর্তে গুগল করা বা কিতাব দেখা জায়েয হবে না। এটা প্রকাশ্য ধোকা ও প্রতারণা হয়ে যাবে।সুতরাং এত্থেকে আমাদের সবাইকে বেচে থাকতে হবে। যদি কেউ এভাবে ধোকা ও প্রতারণার মাধ্যমে সার্টিফিকেট নেয়, তাহলে সেই সার্টিফিকেট ব্যবহার করাও জায়েয হবে না।হ্যা, কেউ উক্ত সার্টিফিকেট ব্যবহার করার পর যদি নিষ্টার সাথে দায়িত্ব  আঞ্জাম দেয়,তাহলে তার ইনকাম হারাম হবে না।

(২)
এক্সামের সময় দেখে লিখার জন্য যদি কেউ খাতার পিক চায়, তাহলে তাকে খাতার পিক তুলে প্রেরণ করা জায়েয হবে না।কেননা পরীক্ষায় নকল করা বা অন্যকে নকল করার সুযোগ প্রদান করা কেনোটাই জায়েয না।

(৩)
যদি সবাই বেশী মার্কের জন্য নকল করে,তাহলে আপনার জন্য রুখসত হতে পারে,তবে সবাই যে নকল করছে তার নিশ্চিয়তা থাকতে হবে। কোনো একজন বাকী থাকতে পারবে না। কেননা তখন আপনি ভাল ছাত্র হওয়ার পরও আপনার থেকে নিম্নমানের অযোগ্যজন আপনার থেকে এগিয়ে যাবে।
আর আজিমত হল, তখনও নকল না করা।এবং এটাই উত্তম।

ফেইল হয়ে যাবে,দুয়েক মার্ক পেলে পাশ হবে,এমন পরিস্থিতিতে নকল করা যাবে না।যদি আর কেউ না করে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (29 points)
এবার ঠিক আছে আলহামদুলিল্লাহ।  আগের টায় একটু মিস্টেক হয়ে গেছিলো।  জাযাকাল্লাহু খইরন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...