আশুরার দিনে কি পূর্বের কাযা রোজা আদায় করা যাবে?

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তায।আমার পুর্বের কাযা রোজা আদায় বাকি আছে,,আমি সেগুলা রাখছি,,আশুরার দিনে এবং এর এগের/পরের দিন ও কি কাযা রোজা আদায় করতে পারবো নাকি আশুরার রোজা আদায় করতে হবে??

কোনটা করা উত্তম হবে আমার জন্য?

Answer 1

জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم 

ফরজ রোজা কাযা হলে তা পরবর্তীতে আদায় করে নেয়াও ফরজ। কারণ পবিত্র কুরআনে কাযা রোযা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾

রমাদান মাস, এতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং হিদায়তের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে। তবে তোমাদের কেউ অসুস্থ থাকলে বা সফরে থাকলে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন সে জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

আর আপনি যেই রোজার কথা বলেছেন (আশুরার রোযা) তা নফল। ফরজের তুলনায় নফলের গুরুত্ব অনেক কম।

ফরজ আদায় না করলে এর শাস্তি পেতে হবে,মহান আল্লাহর কাছে কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।

আর নফল আদায় না করলে কোনো সমস্যাই নেই।

এর জন্য কোনো জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবেনা।

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/17861/

,

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য পুর্বের কাযা রোজা আদায় করাই উচিত হবে।

কেননা তাহা কাজা আদায় করাও ফরজ।

আর ফরজ আদায় না করলে এর শাস্তি পেতে হবে,মহান আল্লাহর কাছে কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।