আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in সালাত(Prayer) by (80 points)
edited by
১)নামাজের সময় সন্দেহ হচ্ছিল যে কোনো ওয়াজিব বাদ পরেছে তাই সতর্কতার জন্যে সাহু সিজদা দিয়ে দেই পরে আবার ধারণা হলো যে কোনো ওয়াজিব বাদ পড়েনি নামাজ ঠিকই হয়েছে।তাহলে নামাজ যদি ঠিক হয়ে থাকে তাহলে এই অতিরিক্ত সাহু সিজদার জন্যে কি নামাজ ফাসিদ হবে? পুনরায় আদায় করতে হবে?

২) শেষ বৈঠকে তাশাহুদ,দরুদ শরীফ,দোয়া মাসুরা পরার পরে দানে সালাম ফিরিয়ে দুই সিজদা দিয়ে আবার বৈঠকে তাশাহুদ,দোয়া মসুরা ও দরুদ শরীফ পরে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করি। উপরোক্ত ক্ষেত্রে কি সাহু সিজদা ঠিক হয়েছে? যদি ঠিক না হয় তবে কি পুনরায় নামায আদায় করতে হবে?

৩) কেবল পানি দিয়েই পবিত্রতা অর্জন করা যথেষ্ট বলে জানি।কিন্তু ফরজ গোছল চলাকালীন সময়ে ফরজ গোসল শেষ করার আগেই কেউ যদি সাবান/শাম্পু ব্যাবহার করে তাহলে কি গোছলে কোনো সমস্যা হবে?

৪)প্রসাব/গোসলের অনেক সময় পর লজ্জাস্থানের মূখের কাছে সামান্য প্রসাব এসে থাকে।তবে সেটা অনেক সময় যাওয়ার পর আসে।নামাজ যখন পড়তে গেছি তখন পরিস্কার ছিল।নামাজ শেষ হওয়ারও অনেক পরে প্রায় ১ঘণ্টা পরে দেখি লজ্জাস্থানের রাস্তা আঠালো ভাবে লেগে আছে। প্রসাব এসে যখন শুকিয়ে যায় তখন এমন হয়।কিন্তু এরকম আঠালো লজ্জাস্থানের বাহিরে দেখতে পাচ্ছি না।অর্থাৎ ওই সামান্য প্রসাব বাহিরে হয়তো আসেনি। এখন প্রসাব বাহিরে এসেছে কি না আসেনি তা নিশ্চিত হতে পারছি না আমার কি আবার নামাজ দহরানো উচিত?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
উক্ত নামাজ ফাসিদ হয়নি,আদায় হয়ে গিয়েছে।
সুতরাং উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।  

(০২)
নামাক আদায় হয়ে গিয়েছে,উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা। 

তবে এক্ষেত্রে উত্তম নিয়ম হলো শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে সালাম ফিরানোর পর দু’টি সেজদা দিবে। তারপর তাশাহুদ, দুআয়ে মাসুরা পড়ে বাকি নামায যথারীতি পূর্ণ করে সালাম ফিরাবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
قَالَ عَبْدُ اللَّهِ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لاَ أَدْرِي زَادَ أَوْ نَقَصَ ـ فَلَمَّا سَلَّمَ قِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَحَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ قَالَ ” وَمَا ذَاكَ ”. قَالُوا صَلَّيْتَ كَذَا وَكَذَا. فَثَنَى رِجْلَيْهِ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ، وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ، فَلَمَّا أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ قَالَ ” إِنَّهُ لَوْ حَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ لَنَبَّأْتُكُمْ بِهِ، وَلَكِنْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ، أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ، فَإِذَا نَسِيتُ فَذَكِّرُونِي، وَإِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَتَحَرَّى الصَّوَابَ، فَلْيُتِمَّ عَلَيْهِ ثُمَّ يُسَلِّمْ، ثُمَّ يَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ ”.( رَوَاه الْبُخَارِىُّ فِىْ بَابِ التَّوَجُّهِ نَحْوَ القِبْلَةِ حَيْثُ كَانَ)

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. বলেন: রসূলুল্লাহ স. নামায পড়লেন। রাবী ইবরাহীম রহ. বলেন: আমার জানা নেই, তিনি বেশী করেছেন বা কম করেছেন। সালাম ফেরানোর পরে বলা হলো: ইয়া রসূলাল্লাহ! নামাযের মধ্যে কি নতুন কিছু হয়েছে? তিনি বললেন: তা কী? তাঁরা বললেন: আপনি তো এরূপ এরূপ নামায আদায় করেছেন। রসূলুল্লাহ স. তখন দু’পা ঘুরিয়ে কিবলামুখী হলেন এবং আরও দু’টি সিজদা করলেন। এরপর সালাম ফিরালেন। অতঃপর তিনি আমাদের দিকে ফিরে বললেন: যদি নামায সম্পর্কে নতুন কিছু  হতো, তাহলে অবশ্যই আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দিতাম। কিন্তু আমি তো মানুষ; তোমরা যেমন ভুল করে থাক, আমিও ভুল করি। সুতরাং আমি কখনও ভুল করলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিবে। আর তোমাদের কেউ নামাযে সন্দেহে পড়লে সে যেন নিঃসন্দেহ হওয়ার চেষ্টা করে এবং সে অনুযায়ী নামায পুরো করে। অতঃপর সালাম ফিরিয়ে দু’টি সিজদা আদায় করে। (বুখারী: ৩৯২)

عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الْعَصْرَ فَسَلَّمَ فِى ثَلاَثِ رَكَعَاتٍ ثُمَّ دَخَلَ مَنْزِلَهُ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ الْخِرْبَاقُ وَكَانَ فِى يَدَيْهِ طُولٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَذَكَرَ لَهُ صَنِيعَهُ. وَخَرَجَ غَضْبَانَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى النَّاسِ فَقَالَ « أَصَدَقَ هَذَا ». قَالُوا نَعَمْ. فَصَلَّى رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ.(رَوَاه مُسْلِمٌ فِىْ بَابِ السَّهْوِ فِي الصَّلَاةِ وَالسُّجُودِ لَهُ)

হযরত ইমরান বিন হুছইন রা. থেকে বর্ণিত: রসূলুল্লাহ স. আছরের নামায পড়ালেন এবং তৃতীয় রাকাতে সালাম ফিরিয়ে ঘরে চলে গেলেন। অতঃপর খিরবাক নামীয় লম্বা হাত বিশিষ্ট একজন সাহাবী রসূলুল্লাহ স.-এর নিকটে গেলেন এবং ‘ইয়া রসূলাল্লাহ’ বলে ডাক দিয়ে রসূলুল্লাহ স. যা করেছেন তা উল্লেখ করলেন। রসূলুল্লাহ স. রাগান্বিত অবস্থায় চাদর টানতে টানতে বের হলেন এবং লোকদের কাছে এসে বললেন: এ লোকটি কি ঠিক বলেছে? সাহাবায়ে কিরাম বললেন: হ্যাঁ। অতঃপর রসূলুল্লাহ স. এক রাকাত নামায পড়ালেন। অতপর (সাহু সিজদার) সালাম ফেরালেন তরপর দুটি সিজদা করলেন এবং পুনরায় সালাম ফেরালেন। (মুসলিম: ১১৭১)

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
(০৩)
এতে গোসলের কোনো সমস্যা হবেনা।
এটির দ্বারা আরো ভালো পরিচ্ছন্নতা হবে।
,
(০৪)
আপনার নামাজ আর দোহরাতে হবেনা।
নামাজ হয়ে গিয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 121 views
+1 vote
1 answer 114 views
...