জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
উক্ত নামাজ ফাসিদ হয়নি,আদায় হয়ে গিয়েছে।
সুতরাং উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
(০২)
নামাক আদায় হয়ে গিয়েছে,উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
তবে এক্ষেত্রে উত্তম নিয়ম হলো শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে সালাম ফিরানোর পর দু’টি সেজদা দিবে। তারপর তাশাহুদ, দুআয়ে মাসুরা পড়ে বাকি নামায যথারীতি পূর্ণ করে সালাম ফিরাবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
قَالَ عَبْدُ اللَّهِ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لاَ أَدْرِي زَادَ أَوْ نَقَصَ ـ فَلَمَّا سَلَّمَ قِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَحَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ قَالَ ” وَمَا ذَاكَ ”. قَالُوا صَلَّيْتَ كَذَا وَكَذَا. فَثَنَى رِجْلَيْهِ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ، وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ، فَلَمَّا أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ قَالَ ” إِنَّهُ لَوْ حَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ لَنَبَّأْتُكُمْ بِهِ، وَلَكِنْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ، أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ، فَإِذَا نَسِيتُ فَذَكِّرُونِي، وَإِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَتَحَرَّى الصَّوَابَ، فَلْيُتِمَّ عَلَيْهِ ثُمَّ يُسَلِّمْ، ثُمَّ يَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ ”.( رَوَاه الْبُخَارِىُّ فِىْ بَابِ التَّوَجُّهِ نَحْوَ القِبْلَةِ حَيْثُ كَانَ)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. বলেন: রসূলুল্লাহ স. নামায পড়লেন। রাবী ইবরাহীম রহ. বলেন: আমার জানা নেই, তিনি বেশী করেছেন বা কম করেছেন। সালাম ফেরানোর পরে বলা হলো: ইয়া রসূলাল্লাহ! নামাযের মধ্যে কি নতুন কিছু হয়েছে? তিনি বললেন: তা কী? তাঁরা বললেন: আপনি তো এরূপ এরূপ নামায আদায় করেছেন। রসূলুল্লাহ স. তখন দু’পা ঘুরিয়ে কিবলামুখী হলেন এবং আরও দু’টি সিজদা করলেন। এরপর সালাম ফিরালেন। অতঃপর তিনি আমাদের দিকে ফিরে বললেন: যদি নামায সম্পর্কে নতুন কিছু হতো, তাহলে অবশ্যই আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দিতাম। কিন্তু আমি তো মানুষ; তোমরা যেমন ভুল করে থাক, আমিও ভুল করি। সুতরাং আমি কখনও ভুল করলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিবে। আর তোমাদের কেউ নামাযে সন্দেহে পড়লে সে যেন নিঃসন্দেহ হওয়ার চেষ্টা করে এবং সে অনুযায়ী নামায পুরো করে। অতঃপর সালাম ফিরিয়ে দু’টি সিজদা আদায় করে। (বুখারী: ৩৯২)
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الْعَصْرَ فَسَلَّمَ فِى ثَلاَثِ رَكَعَاتٍ ثُمَّ دَخَلَ مَنْزِلَهُ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ الْخِرْبَاقُ وَكَانَ فِى يَدَيْهِ طُولٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَذَكَرَ لَهُ صَنِيعَهُ. وَخَرَجَ غَضْبَانَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى النَّاسِ فَقَالَ « أَصَدَقَ هَذَا ». قَالُوا نَعَمْ. فَصَلَّى رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ.(رَوَاه مُسْلِمٌ فِىْ بَابِ السَّهْوِ فِي الصَّلَاةِ وَالسُّجُودِ لَهُ)
হযরত ইমরান বিন হুছইন রা. থেকে বর্ণিত: রসূলুল্লাহ স. আছরের নামায পড়ালেন এবং তৃতীয় রাকাতে সালাম ফিরিয়ে ঘরে চলে গেলেন। অতঃপর খিরবাক নামীয় লম্বা হাত বিশিষ্ট একজন সাহাবী রসূলুল্লাহ স.-এর নিকটে গেলেন এবং ‘ইয়া রসূলাল্লাহ’ বলে ডাক দিয়ে রসূলুল্লাহ স. যা করেছেন তা উল্লেখ করলেন। রসূলুল্লাহ স. রাগান্বিত অবস্থায় চাদর টানতে টানতে বের হলেন এবং লোকদের কাছে এসে বললেন: এ লোকটি কি ঠিক বলেছে? সাহাবায়ে কিরাম বললেন: হ্যাঁ। অতঃপর রসূলুল্লাহ স. এক রাকাত নামায পড়ালেন। অতপর (সাহু সিজদার) সালাম ফেরালেন তরপর দুটি সিজদা করলেন এবং পুনরায় সালাম ফেরালেন। (মুসলিম: ১১৭১)
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৩)
এতে গোসলের কোনো সমস্যা হবেনা।
এটির দ্বারা আরো ভালো পরিচ্ছন্নতা হবে।
,
(০৪)
আপনার নামাজ আর দোহরাতে হবেনা।
নামাজ হয়ে গিয়েছে।