ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَعَلَيْهِ الْجُمُعَةُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَّا مَرِيض أَو مُسَافر أَوْ صَبِيٌّ أَوْ مَمْلُوكٌ فَمَنِ اسْتَغْنَى بِلَهْوٍ أَوْ تِجَارَةٍ اسْتَغْنَى اللَّهُ عَنْهُ وَاللَّهُ غَنِيٌّ حميد»
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার ওপর ও আখিরাতের ওপর ঈমান রাখে, তার জন্য জুমু‘আর দিনে জুমু‘আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা অবশ্য কর্তব্য। তবে অসুস্থ, মুসাফির, নারী, নাবালেগ ও গোলামের ওপর ফরয নয়। সুতরাং যারা খেল-তামাসা বা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে জুমু‘আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হতে উদাসীন থাকবে, আল্লাহ তা‘আলাও তার দিক থেকে বিমুখ থাকবেন। আর আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, তিনি সুউচ্চ, প্রশংসিত।
(দারাকুত্বনী ১৫৭৬, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৫১৪৯, সুনানুল বায়হাক্বী আল কুবরা ৫৬৩৪, শু‘আবুল ঈমান ২৭৫৩,মিশকাত ১৩৮০।)
জুমুআর নামায ফরজ। জুমুআর নামায পড়ার মাধ্যমে জোহরের নামায সাক্বিত বা রহিত হয়ে যায়।অর্থাৎ আর জোহরের নামায পড়া লাগে না।
মুসাফিরের উপর জুমুআর নামায ওয়াজিব হবে না,বরং তিনি জোহরের নামায আদায় করবেন। কেননা জুমুআর নামাজ ওয়াজিব হওয়ার জন্য ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে নিম্নোক্ত শর্তাবলী উল্লেখ করা হয়েছে....
وَهِيَ الْحُرِّيَّةُ وَالذُّكُورَةُ وَالْإِقَامَةُ وَالصِّحَّةُ، كَذَا فِي الْكَافِي، وَالْقُدْرَةُ عَلَى الْمَشْيِ، كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ، وَالْبَصَرُ، هَكَذَا فِي التُّمُرْتَاشِيِّ،
তরজমাঃ-
(১)স্বাধীন ব্যক্তি হওয়া (২)পুরুষ হওয়া(৩)মুক্বিম (মুসাফির না)হওয়া(৪)সুস্থ থাকা(৫)জামে মসজিদে হেটে যাওয়ার সামর্থ্য থাকা(৬)দৃষ্টি সম্পন্ন থাকা।
حَتَّى لَا تَجِبَ الْجُمُعَةُ عَلَى الْعَبِيدِ وَالنِّسْوَانِ وَالْمُسَافِرِينَ وَالْمَرْضَى،
সুতরাং গোলাম, মহিলা, মুসাফির এবং অসুস্থ ব্যক্তির উপর জুমুআহ ওয়াজিব হবে না।(ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১৪৪)
তবে যদি কোন মুসাফির জুমুআর নামায পড়ে নেয় তাহলে তার জুমুআহ সহীহ হবে,এবং তার জন্য জোহরের নামায পড়া লাগবে না।
وَمَنْ لَا جُمُعَةَ عَلَيْهِ إن أَدَّاهَا جَازَ عَنْ فَرْضِ الْوَقْتِ، كَذَا فِي الْكَنْزِ.
তরজমাঃ-যার উপর জুমুআর নামায ওয়াজিব নয় সে যদি জুমুআর নামায পড়ে নেয় তাহলে সে নামায জোহরের নামাযের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যাবে,কানযুদ্দাক্বাইক্বে এরকম-ইবর্ণিত আছে।(ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১৪৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার বাড়ি থেকে হোষ্টেল হল ২৪৭ কিলো দূরে,তাই আপনি রাস্তায় মুসাফির হিসেবে গণ্য হবেন। মুসাফিরের জন্য জুম্মার নামায নেই,বরং জোহরের কসর নামায।সুতরাং আপনি জোহরের কসর আদায় করবেন।কিন্তু যদি আপনি জোহর পড়ে নেন,তাহলে আপনার নামায আদায় হয়ে যাবে।
হোষ্টেলে একবার ১৫ দিনের অধিক থেকে গেলে, পরবর্তীতে আপনি হোষ্টেলে মুকিম হিসেবে গণ্য হবেন।তখন আপনি পূর্ণ নামায পড়বেন।