আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
307 views
in সালাত(Prayer) by (100 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
১. তাজবিদে নুন সাকিন, তানবীনের পর ইখফার হরফ আসলে গুন্নাহ করতে হয়! আমাদেরকে এই গুন্নাহ করতে এভাবে শিখিয়েছে যে " ং" এর মাধ্যমে এক আলিফের মতো গুন্নাহ করতে!  কিন্তু ইদানীং জানতে পেরেছি যে ইখফার  গুন্নাহ গুলো এভাবে হবে না, প্রতি হরফের মাখরাজে যেয়ে গুন্নাহ করতে হয়!   এটা প্র্যাক্টিস করে শিখতে হবে,  সময় লাগবে অনেক! প্রশ্ন হচ্ছে,  নামাজে সুরা ভুল পড়া যায় না, নামাজে সুরার মাঝে উক্ত গুন্নাহ গুলোতে "ং"  দিয়ে যদি গুন্নাহ করি তাহলে নামাজ কি ভুল হবে?!

২. উক্ত সমস্যার জন্য নামাজের জন্য ৩/৪  টা ছোট সুরা বেছে নিয়েছি যেগুলোতে ইখফার গুন্নাহ নেই! না শেখা পর্যন্ত উক্ত সুরা গুলো দিয়েই নামাজ পরবো ভেবেছি!  এতে কি সমস্যা হবে?!
আর নামাজ শেষে দুয়া মাসুরা তেও ইখফার গুন্নাহ আছে, তাই শেষ বৈঠকে শুধু তাশাহুদ আর দুরুদ পরে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করি, দুয়া মাসুরা পরি না! এতে নামাজে ভুল হবে?

৩.যেহেতু ৩/৪ টা সুরা বেছে নিয়েছি তাই বিতর নামাজে প্রথম দুই রাকাআতে যদি সুরা ফালাক আর নাস পরি, আর ৩য় রাকাআতে ইখলাস পরতে হয়, এতে সুরাতে সিরিয়াল মেইনটেইন হচ্ছে না! নামাজ অশুদ্ধ হবে এজন্য?

৪. নামাজে তাশাহুদ পড়ার শুরু থেকে শাহাদাত আঙুল তুলে রাখি আর দৃষ্টি সেই আঙুলের দিকেই রাখি তাশাহুদের শেষ পর্যন্ত! তাশাহুদ পড়া শেষ হলে তখন দৃষ্টি নিচের দিকে মাঝ বরাবর এনে দুরুদ পড়ি! এটা ঠিক আছে?!  এভাবে পরলে ভুল হবে  কিনা?!
আর নামাজের হিজাব অনেক বড় হওয়ায় হাত ভিতরে থাকে যার কারণে তাশাহুদ পড়ার সময় আঙুল উঠিয়ে দৃষ্টি আঙুলে রাখলেও আঙুল দেখতে পাই না, আঙুলের স্থানটির কাপড়ের উপরেই তাকিয়ে থাকি! এতে সমস্যা হবে?!
৫. কুরআন শরীফ পড়ার শুরুতে দুরুদ পড়তে হয় জানি, কিন্তু প্রতি বার কুরআন শরীফ তিলাওয়াতের আগে  সুরা ফাতিহা আর সুরা বাকারার প্রথম কয়েক আয়াত পড়তে হয় এমন কোনো নিয়ম আছে?!
কুরআন তিলাওয়াত শুরুর জন্য আদব আছে কিনা তার আগে কোনো নির্দিষ্ট? নাকি ওজু করেই কুরআনের যে কোনো জায়গা হতে তিলাওয়াত করা যায়?

৬. কুরআন তিলাওয়াত শেষে  সদাকল্লাহুল আজিম  বলা হয়,  এটা কি নিয়ম?! না বললে গুনাহ হবে?! কিছুদিন আগে জানতে পেরেছি এটাকে নিয়ম ভাবা যাবে না, নিয়ম ভাবলে বিদাআত হবে এমন কিছু!  অনেকে ভাবে এটা বলতেই হয়, নিয়ম! সঠিক কোনটা?!

৭.বিগত বছরে যত নামাজ কাজা হয়েছে সেগুলোকে তো উমরি কাজা বলে! সেগুলো পড়ার সময় নিয়তে উমরি কাজা বলতে হবে নাকি শুধু কাজা বললেই হবে?!
আর উমরি কাজা নামাজে শুধু প্রতি ওয়াক্তের ফরজ নামাজ গুলো  পড়লেই হবে তাই না?! নাকি সুন্নাত ও পরা জরুরী?!
৮. যে কোনো নফল নামাজের শেষ রাকাআতে সুরা ফাতিহার সাথে সুরা ইখলাস তিনবার পরতে হয়, এরকম কোনো নিয়ম আছে?!  এভাবে না পরলে নামাজ হবে না?!
৯.নফল নামাজেও সুরার সিরিয়াল মেইনটেইন করা জরুরী?!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যেভাবেই গুন্নাহ করা হোক না কেন,নামায হবে।নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।কেননা তাজবীদের সাথে পড়া মুস্তাহাব।ফরয বা ওয়াজিব নয়।তাই নামায হয়ে যাবে।দদ
হ্যা, গুন্নাহ কিভাবে করতে হবে,তা সরাসরি কোনো উস্তাদ থেকে জানতে হবে।এটা লিখে বুঝানো সম্ভব না।

(২)
আপনি পড়বেন।সবগুলো সূরাই পড়বেন।এবং সবগুলো দু'আ য়ে মাছুরা পড়বেন।গুন্নাহ না করলেও নামায হবে।

(৩)
এভাবে সিরিয়াল মেন্টন না করে নামায পড়া মাকরুহ।

(৪)
মোল্লা আলী কারী রাহ আরো লিখেন,
وَعِنْدَنَا: يَرْفَعُهَا عِنْدَ لَا إِلَهَ، وَيَضَعُهَا عِنْدَ إِلَّا اللَّهُ لِمُنَاسَبَةِ الرَّفْعِ لِلنَّفْيِ، " وَمُلَاءَمَةِ " الْوَضْعِ لِلْإِثْبَاتِ، وَمُطَابَقَةً بَيْنَ الْقَوْلِ وَالْفِعْلِ حَقِيقَةً
হানাফি মাযহাব মতে তাশাহুদের মধ্যে 'আশহাদু আন-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সময়ে শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলন করা হবে(এবং এটা সুন্নত)।এবং ইল্লাল্লাহ বলার পর অঙ্গুলিকে আস্তে আস্তে আস্তে নামিয়ে ফেলা হবে।যাতেকরে 'না'এর সময় 'হ্যা' হয়।অর্থাৎ যখন লা-ইলাহা (কোনো মা'বুদ নাই)বলা হবে,তখন শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলন করে বুঝানো হবে যে,অবশ্যই  একজন আল্লাহ রয়েছে।এবং যখন ইল্লাহ তে আসা হবে,তখন আর উত্তোলনের প্রয়োজন নেই বিধায় অঙ্গুলিকে নামিয়ে ফেলা হবে।

অতঃপর অঙ্গুলি সমূহের এই হালকাকে নামাযের শেষ পর্যন্ত রাখা হবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৬৩৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1262

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি আঙ্গুল উত্তোলনের সময় আঙ্গুলের দিকে তাকাবেন। সর্বদা আঙ্গুলের দিকে তাকানো জরুরী নয়।

সর্বদা আঙ্গুলের দিকে তাকানো জরুরী নয়।
(৫)
অজু করেই আউযু বিল্লাহ বিসমিল্লাহ বলে কুরআনের যে কোনো জায়গা থেকে শুরু করা যায়। কুরআন তিলাওয়াতের পূর্বে বিশেষ কোনো সূরা বা আয়াত পড়া জরুরী নয়।

(৬)
সুন্নত মনে করে করা অবশ্যই বিদ'আত। হ্যা মুন্নত মনে না করলে বিদ'আত হবে না।

(৭)
উমরি কাযা বলা লাগবে না।বরং শুধুমাত্র কাযা বললেই হবে। কাযা নামাজে শুধুমাত্র ফরয পড়লেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 220 views
0 votes
1 answer 190 views
0 votes
1 answer 171 views
...