ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যেভাবেই গুন্নাহ করা হোক না কেন,নামায হবে।নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।কেননা তাজবীদের সাথে পড়া মুস্তাহাব।ফরয বা ওয়াজিব নয়।তাই নামায হয়ে যাবে।দদ
হ্যা, গুন্নাহ কিভাবে করতে হবে,তা সরাসরি কোনো উস্তাদ থেকে জানতে হবে।এটা লিখে বুঝানো সম্ভব না।
(২)
আপনি পড়বেন।সবগুলো সূরাই পড়বেন।এবং সবগুলো দু'আ য়ে মাছুরা পড়বেন।গুন্নাহ না করলেও নামায হবে।
(৩)
এভাবে সিরিয়াল মেন্টন না করে নামায পড়া মাকরুহ।
(৪)
মোল্লা আলী কারী রাহ আরো লিখেন,
وَعِنْدَنَا: يَرْفَعُهَا عِنْدَ لَا إِلَهَ، وَيَضَعُهَا عِنْدَ إِلَّا اللَّهُ لِمُنَاسَبَةِ الرَّفْعِ لِلنَّفْيِ، " وَمُلَاءَمَةِ " الْوَضْعِ لِلْإِثْبَاتِ، وَمُطَابَقَةً بَيْنَ الْقَوْلِ وَالْفِعْلِ حَقِيقَةً
হানাফি মাযহাব মতে তাশাহুদের মধ্যে 'আশহাদু আন-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সময়ে শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলন করা হবে(এবং এটা সুন্নত)।এবং ইল্লাল্লাহ বলার পর অঙ্গুলিকে আস্তে আস্তে আস্তে নামিয়ে ফেলা হবে।যাতেকরে 'না'এর সময় 'হ্যা' হয়।অর্থাৎ যখন লা-ইলাহা (কোনো মা'বুদ নাই)বলা হবে,তখন শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলন করে বুঝানো হবে যে,অবশ্যই একজন আল্লাহ রয়েছে।এবং যখন ইল্লাহ তে আসা হবে,তখন আর উত্তোলনের প্রয়োজন নেই বিধায় অঙ্গুলিকে নামিয়ে ফেলা হবে।
অতঃপর অঙ্গুলি সমূহের এই হালকাকে নামাযের শেষ পর্যন্ত রাখা হবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৬৩৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1262
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি আঙ্গুল উত্তোলনের সময় আঙ্গুলের দিকে তাকাবেন। সর্বদা আঙ্গুলের দিকে তাকানো জরুরী নয়।
সর্বদা আঙ্গুলের দিকে তাকানো জরুরী নয়।
(৫)
অজু করেই আউযু বিল্লাহ বিসমিল্লাহ বলে কুরআনের যে কোনো জায়গা থেকে শুরু করা যায়। কুরআন তিলাওয়াতের পূর্বে বিশেষ কোনো সূরা বা আয়াত পড়া জরুরী নয়।
(৬)
সুন্নত মনে করে করা অবশ্যই বিদ'আত। হ্যা মুন্নত মনে না করলে বিদ'আত হবে না।
(৭)
উমরি কাযা বলা লাগবে না।বরং শুধুমাত্র কাযা বললেই হবে। কাযা নামাজে শুধুমাত্র ফরয পড়লেই হবে।