ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) জ্বী, কেউ শর্তের সাথে তিন তালাক দিলে এবং সে শর্ত পাওয়া গেলে তিন তালাকই পতিত হবে।
(২) তালাকের কথা চিন্তা লরল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, বা তার জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1379
(৩) আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? তা আমাদের কাছে পরিস্কার নয়। আপনি পরিস্কার করে কমেন্ট উল্লেখ করবেন।
(৪) জ্বী, মুআল্লাক( শর্তযুক্ত) তালাক লিখে দেয়া যায়। অর্থাৎ স্বামী যদি তার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে স্ত্রীর তালাকে মুআল্লাক লিখে তাহলে তালাক পতিত হবে।
(৫) না, এর জন্য তালাক পতিত হবে না।
(৬) তার জন্য এমন মাসআলা না জানাই ভালো।
(৭) তালাক সেটা যেকোন প্রকার হোক তা যদি খাতায় লেখা হয় কিন্তু জোরে উচ্চারন না হয়, এবং কাউকে উদ্দেশ্য না করা হয়, তাহলে ঐ লিখার দ্বারা তালাক পতিত হবেনা।
(৮) এমন কোনো কথা শরীয়তে নাই। বরং আপনি লিখতে পারবেন, বা সার্চ দিতে পারবেন। আপনার জন্য মুআল্লাক তালাক হবে না।