ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি আল্লাহকে কি বলছেন? আল্লাহর কাছে কি চাচ্ছেন? সেটা জেনে বুঝে আপনি আল্লাহর কাছে চাইবেন। এটাই স্বাভাবিক। এবং এটাই একজন বুদ্ধিমানের কাজ।
মুফতী মুহাম্মাদ শফী (রাহঃ) বলেন ,
বর্তমানে অনেক মসজিদের ইমামদের অভ্যাস হয়ে গেছে যে , কিছু আবরী দু্’আ মুখস্থ করে নিয়ে সালাত শেষ করেই (দু’হাত উঠিয়ে ) ঐ মুখস্থ দু’আগুলি পড়েন । কিন্তু যাচাই করে দেখলে দেখা যাবে যে , এ দু’আগুলোর সারমর্ম তাদের অনেকেই বলতে পারে না । আর ইমামগণ বলতে পারলেও এটা নিশ্চিত যে , অনেক মুক্তাদী এ সমস্ত দু’আর অর্থ মোটেই বুঝে না । কিন্তু না জেনে না বুঝে আ-মীন , আ-মীন বলতে থাকে । এ সমস্ত তামাশার সারমর্ম হচ্ছে কিছু শব্দ পাঠ করা মাত্র । প্রার্থনার যে রুপ বা প্রকৃতি , তা এতে পাওয়া যায় না ।
(মা’আরেফুল কুরআন , ৩য় খন্ড , পৃঃ ৫৭৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অর্থ বুঝে আরবী দু’আ করা উত্তম। যদি কেউ আরবী দু’আ সমূহের অর্থ না বুঝে, তাহলে তার জন্য বাংলাতে দু’আ করাই উত্তম। হ্যা, কেউ চাইলে সে হাদীসে বর্ণিত দ’আ সমূহকে আরবীতে পড়তে পারবে, যদিও সে অর্থ না জেনে থাকে। সুতরাং আপনি মুবাইল দেখে দেখে আরবী মুনাজাত করতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না।