আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
195 views
in সালাত(Prayer) by (80 points)
edited by

আসসালামু ওয়ালাইকুম।

প্রশ্নগুলো বড়ো হওয়ার জন্য দুঃখিত

১)

দুটি জরুরী বিষয় : 

 

অনেকে মসজিদে যেয়ে রুকু অবস্থায় ইমামকে পায়। এমতবস্থায় প্রায় সবাই তাকবির বলে হাত বেধে দাড়ায় তারপর রুকুতে শরিক হয় যার ফলে রুকু মিস করে অনেক সময়।

 

অনেকে আবার রুকুতে যেতে যেতে তাকবির বলে রুকুতে শরিক হয়।

 

দুটি পদ্ধতিই ভুল।

 

ইমামকে রুকুতে পেলে ফরজ কাজ হলো তাকবিরে তাহরিমা বলা। এটা ফরজ। এটা দিয়ে নামাজে শরিক হবে। অর্থাৎ প্রথমে সোজা দাড়াবে। দাড়ানো অবস্থায় হাত তুলে তাকবির বলবে। তবে হাত বাধবে না। বরং হাত তুলে আল্লাহু আকবার বলে হাত ছেড়ে দিবে। আবার তাকবির বলে রুকুতে যাবে। রুকুতে যাওয়ার জন্য এই তাকবির বলা সুন্নাত। না বলতে পারলেও সমস্যা নাই। কিন্তু সোজা হয়ে প্রথমে তাকবিরে তাহরিমা বলা ফরজ। রুকুতে যেতে যেতে রুকুর তাকবির বলে নামাজে শরিক হলে নামাজ হবে না। পুনরায় পড়তে হবে।

 

যদি অন্তত ইমামকে রুকুতে আধা সেকেন্ড ও পায় তাহলেও ঐ রাকাত পেয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। অর্থাৎ সে রুকুতে যাওয়ার আধা সেকেন্ড পর ইমাম রুকু থেকে উঠলেও রাকাত পেয়েছে গন্য হবে। মুল শর্ত হলো ইমামকে রুকুতে পাওয়া অন্তত অল্প সময়ের জন্য হলেও। সামান্য সময় পেলেও সে ঐ রাকাত পেয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।

 

দ্বিতীয় বিষয় হলো :

 

যারা মাসবুক তারা ইমাম সালাম ফিরানো শেষ করার আগেই উঠে দাড়ায়, ১ সালাম শেষ হতেই দাড়িয়ে যায়। এটি ভুল পদ্ধতি।

 

উভয় সালাম ফিরানো শেষ হবার পরেই মাসবুক উঠে দাড়িয়ে বাকি নামাজ শেষ করবে।

(হানাফী ফিকহ গ্রুপ থেকে সংগৃহীত)

উপরের কথাগুলো কি সঠিক?

 

২)আমার মা ও আমার খালারা সবাই আহলে হাদিস আলেমদের কথা মত আমল করে। সে হিসেবে আমিও ছোট বেলা থেকে আহলে হাদীস আলেমদের কথা মতই আমল করতাম। দেখতাম আহলে হাদিস আলেমদের বক্তব্য শুনে মনে হতো সব মাজহাব মানুষের বানানো এগুলো মান্য করা জায়েয নেই কেবল কুরআন হাদিস মানতে হবে তাই মানতাম। কিন্তু পরে যখন মাজহাব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা শুরু করি এবং আমাদের স্থানীয় একজন হক্কানী আলেমের সোহবতে থেকে মাযহাবের গুরুত্ব বুঝতে পারি।সেই থেকে আমি আলহামদুলিল্লাহ হানাফি মাযহাব অনুসারেই আমল করি।কিন্তু আমার মা খালারা এখনো ইউটিউবে আহলে হাদিস আলেমদের কথা শুনে। তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করলেও মানে না।আমি যখন কোনো আমল হানাফি মাযহাব অনুযায়ী করতে যাই যেমন ফজরের পর সূরা হাশরের তিন আয়াত পাঠ করা তখন আমার মা বলে এইগুলো সহীহ হাদীসে নেই।আমি বুঝালও বুঝতে চায় না বলে আহলে হাদীস আলেমরা অনেক হাদিস নিয়ে পড়ালেখায় করেই বলে ওরা কি ভুল বলবে নাকি। এখন আমার করণীয় কি

 

৩) মুক্তাদী যদি ইমামের পিছনে কোনো তাসবিহ বা দোয়া যেমন তাশাহুদ/দরুদ শরীফ ভুল পরে তাহলে কি মুক্তাদির উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে?

৪)নামাজে প্রথম রাকাতে শুরু ব্যতীত অন্য কোনো রাকাতে আউযুবিল্লাহ পড়তে হয় না।কিন্তু যখন কুরআনের কোনো সুরার শুরু থেকে না পরে কিছু অংশ তিলাওয়াত করা হয় তখন তো শুধু আউযুবিল্লাহ বলতে হয়।তাহলে নামাজে যদি অন্য রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য একটা সুরার মাঝে থেকে তিলাওয়াত করি তখন কি আউযুবিল্লাহ বলা যাবে?

৫)নামাজে প্রথম রাকাত ব্যাতিত অন্য রাকাতে আউযুবিল্লাহ পড়তে হয় না।কিন্তু কেউ যদি পড়ে ফেলে তাহলে কি নামায ফাসিদ হবে?

জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) জ্বী, উপরোক্ত দু’টি বিয়ষই বিশুদ্ধ। সঠিক আছে। 
(২) অযথা তাদের সাথে তর্ক না করে, বরং আপনি বিশুদ্ধ হানাফি মাযহাব অনুযয়ী আ’মল চালিয়ে যান। কেননা তাদের সাথে অযথা তর্ক করা মানে আপনার সময় নষ্ট হওয়া। 
(৩) মুক্তাদী যদি ইমামের পিছনে কোনো তাসবিহ বা দোয়া যেমন তাশাহুদ/দরুদ শরীফ ভুল পরে তাহলে মুক্তাদির উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। 
(৪) https://www.ifatwa.info/1300 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
আউযু বিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ্ যেহেতু ক্বেরাতের সুন্নাত। তাই যার যিম্মায় ক্বেরাত রয়েছে,অর্থাৎ কুরআন তেলাওয়াত কারী চায় ইমাম হোক বা মুনফারিদ(একাকী নামায আদায় কারী)তিনিই একমাত্র আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ্ পড়বেন।এবং পড়াই সুন্নাত।  আল্লাম কা'সানি রাহ লিখেন,
ان التعوذ سنة للقراءة فيأتي به كل قارئ للقرآن .....لا يأتي به المقتدي
আউযুবিল্লাহ ক্বেরাতের সুন্নত। সুতরাং ক্বারী সাহেবগণই একমাত্র পড়বেন।মুক্বতাদি পড়বেন না।(আল-বাহরুর রায়েক্ব-১/৩১১)

আউযু বিল্লাহ শুধুমাত্র প্রথম রাকাতে পড়া সুন্নত। আর নামাযের প্রত্যেক রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার পূর্বে নিম্নস্বরে বিসমিল্লাহ্ পড়া সুন্নত। এবং সূরায়ে ফাতেহার পর সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ্ পড়া উত্তম। অবশ্য এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। তবে সুন্নত না হওয়ার উপর সবাই-ই একমত। (কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৫১,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১৭২) (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামাজে যদি অন্য রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য একটা সুরার মাঝে থেকে তিলাওয়াত করা হয়, তাহলে তখন আউযুবিল্লাহ বলা সুন্নত নয়। হ্যা, পড়লে পড়াও যাবে। এতে কোনো সমস্যা হবে। 

(৫) নামাজে প্রথম রাকাত ব্যাতিত অন্য রাকাতে আউযুবিল্লাহ পড়তে হয় না। কিন্তু কেউ যদি পড়ে ফেলে তাহলে নামায ফাসিদ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+2 votes
2 answers 2,452 views
0 votes
1 answer 112 views
...