জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(ক)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمِرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ فَيْرُوزَ، قَالَ: سَأَلْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ مَا لَا يَجُوزُ فِي الْأَضَاحِيِّ. فَقَالَ: قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصَابِعِي أَقْصَرُ مِنْ أَصَابِعِهِ، وَأَنَامِلِي أَقْصَرُ مِنْ أَنَامِلِهِ فَقَالَ: " أَرْبَعٌ لَا تَجُوزُ فِي الْأَضَاحِيِّ - فَقَالَ -: الْعَوْرَاءُ بَيِّنٌ عَوَرُهَا، وَالْمَرِيضَةُ بَيِّنٌ مَرَضُهَا، وَالْعَرْجَاءُ بَيِّنٌ ظَلْعُهَا، وَالْكَسِيرُ الَّتِي لَا تَنْقَى "
‘উবাইদ ইবনু ফাইরূয (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করি, কোন ধরণের পশু কুরবানী করা জায়িয নয়? তিনি বললেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে দাঁড়ান। আমার আঙ্গুলগুলো তাঁর আঙ্গুলের চেয়ে তুচ্ছ এবং আমার আঙ্গুলগুলের গিরাগুলো তাঁর আঙ্গুলের গিরার চেয়ে তুচ্ছ। তিনি আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করে বললেনঃ চার ধরণের দোষযুক্ত পশু কুরবানী করা জায়িয নয়। অন্ধ যার অন্ধত্ব সুস্পষ্ট, রুগ্ন- যার রোগ সুস্পষ্ট, খোঁড়া-যার খোঁড়ামী সুস্পষ্ট, বৃদ্ধ ও দুর্বল-যার হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে।
(আবু দাউদ ২৮০২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
শরীয়তের বিধান হলো, কুরবানীর নিয়তে ভালো পশু কেনার পর যদি তাতে এমন কোনো দোষ দেখা দেয় যে কারণে কুরবানী জায়েয হয় না তাহলে ওই পশুর কুরবানী সহীহ হবে না। এর স্থলে আরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। তবে ক্রেতা গরীব হলে ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারাই কুরবানী করতে পারবে। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, ফাতাওয়া নাওয়াযেল ২৩৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গরিব উক্ত ত্রুটিযুক্ত পশু দিয়েই কুরবানী দিবে।
ধনী নতুন করে আরেকটি পশু ক্রয় করবে।
,
(খ)
এখানে কুরবানীর মান্নত দ্বারা ২টি উদ্দেশ্য।
এক, নিজের উপর যেই কুরবানী ওয়াজিব,যার গোশত সে খাওয়ার নিয়ত আছে,মান্নতের ন্যায় গরিব মিসকিনকে পুরোটাই দেওয়ার নিয়ত নেই ,এমন কুরবানীর মান্নত করা।
এক্ষেত্রে এক ভাগ দিলেও হবে।
দুই, নিজের উপর যেই কুরবানী ওয়াজিব সেটি নয়,যার গোশত সে খাওয়ার নিয়ত করেনি বরং অন্যান্য মান্নতের ন্যায় গরিব মিসকিনকে পুরোটাই দেওয়ার নিয়ত আছে ,এমন কুরবানীর মান্নত করা।
এক্ষেত্রে কুরবানীর পশুর সাথে শরীকানা হিসেবে এক ভাগ দিলে হবেনা।
পূর্ণ পশু দিতে হবে।
(গ)
অছিয়ত সাধারণত মারা যাওয়ার আগেই করা হয়।
তাই এখানে মারা যাওয়ার আগেই অছিয়ত করবে।
অক্ষমতার কারনে আগে করলেও হবে।
(ঘ)
একটি দমই আবশ্যক হবে, তবে গুনাহও হবে।
,
(ঙ)
পায়ের আঙ্গুল গুলির মাথা কেবলার দিকে রাখা সুন্নাত।
,
(চ)
ফতোয়ার কিতাব যেখানে শুধু মাকরুহ বলা হয়,এখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাকরুহে তাহরিমি উদ্দেশ্য হয়।
,
(ছ)
যেকোনো প্রতিষ্ঠান এর এক্ষেত্রে বিধিবিধান তাদের প্রতিষ্ঠান থেকেই জেনে নিতে হবে।
তবে ইসলামী নীতিমালার খেলাফ শাস্তি দেওয়া হলে শাস্তিদাতা গুনাহগার হবেন।
(জ)
(!)
আপনার খরচেই তাকে পাঠাতে হবে।
কেননা আপনার হজ্জ এখনো পূর্ণ হয়নি।
(!!)
হাড়ের ভিতর যেটি থাকে,সেটি এখানে মগজ দ্বারা উদ্দেশ্য।