আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
644 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার মেয়ের বয়স ৪ বছর ৭ মাস। রাতে ঘুমাতে গেলে প্রায় বিছানায় প্রস্রাব করে দেয় যা অনেক সময় কাথা গড়িয়ে বিছানায় লেগে যায়, এক্ষেত্রে বেডশীট কি পুরোটাই৷ ধুয়ে ফেলবো নাকি যতটুকু প্রস্রাব লেগেছে ততটুকুই ধৌত করবো?

ফজরে নামায পড়ার সময় যদি উঠে দেখি যে বাচ্চার প্রস্রাব আমার শরীরেও লেগেছে সেক্ষেত্রে কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করবো অর্থাৎ যতটুকু লেগেছে ততটুকুই কি ধৌত করে ওযু করবো নাকি পুরো কাপড় পরিবর্তন করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

কপড়ে অপবিত্র জিনিষ লেগে উক্ত কাপড়কে অপবিত্র করে ফেলে । যাকে আরবীতে নাজাসত বলে।

নাজাসত দুই প্রকার

 

(ক)নাজাসাতে গালিজাহ

(খ)নাজাসাতে খাফিফাহ

 

প্রথম প্রকারঃ

নাজাসতে গালিজাহ

যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,

وَهِيَ نَوْعَانِ (الْأَوَّلُ) الْمُغَلَّظَةُ وَعُفِيَ مِنْهَا قَدْرُ الدِّرْهَمِ

নাজসতে গালিজাহ যা এক দিরহাম পরিমাণ হলে ক্ষমাযোগ্য।

(নাজাসতে গালিজাহর কয়েকটি হলো)

সে সম্পর্কে বলা হয়,

 كل ما يخرج من بدن الإنسان مما يوجب خروجه الوضوء أو الغسل فهو مغلظ كالغائط والبول والمني والمذي والودي والقيح والصديد والقيء إذا ملأ الفم. كذا في البحر الرائق.

وكذا دم الحيض والنفاس والاستحاضة هكذا في السراج الوهاج وكذلك بول الصغير والصغيرة أكلا أو لا. كذا في الاختيار شرح المختار

ভাবার্থঃ-

ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয় । তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি (বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়) ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,

(বাহরুর রায়েক)

এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-

হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার  প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬

 

নাজাসতে গালিজাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে, এক দিরহাম (তথা বর্তমান সময়ের পাঁচ টাকার সিকি)পরিমাণ বা তার চেয়ে কম হলে, উক্ত কাপড়ের সাথে নামায বিশুদ্ধ হবে ।

আরো বিস্তারিত জানুন -https://ifatwa.info/6568/

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

 

يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ

 

আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

 

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যতটুকুতে প্রস্রাব লেগেছে ততটুকু খুব ভালোভাবে ধৌত করে নিলেই হবে । পুরো বেডশীট ধৌত করা জরুরী নয়।

২. যদি আপনি নিশ্চিত জানেন যে, আপনার জানা নির্দিষ্ট স্থানেই প্রস্রাব লেগেছে তাহলে যতটুকু কাপড়ে লেগেছে ততটুকু ধৌত করে নিয়েই ওযু করবেন। পুরো কাপড় পরিবর্তন করা লাগবে না। আর যদি আপনি নিশ্চিত না জানেন যে, প্রস্রাব কোথায় কোথায় লেগেছে তাহলে পুরো কাপড় পরিবর্তন করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...