ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ، وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ» " مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, কুরআন সম্পর্কে বিজ্ঞজনদের হাশর হবে, আ'মলনামা লিখক পবিত্রতম ফিরিস্তাদের সাথে। আর যে ব্যক্তি কোরআন পড়তে আটকে যায় এবং এমন অবস্থায় সে কুরআনকে পড় যে, কুরআনের উচ্ছারণ তার জন্য কষ্টকর লাগে।সে ব্যক্তি দু'টি সওয়াব পাবে।(প্রথম সওয়াব পাবে পড়ার জন্য এবং দ্বিতীয় সওয়াব পাবে কষ্ট করে পড়ার জন্য)(মিশকাতুল মাসাবিহ-২১১২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বড় বড় আয়াতগুলোতে কয়েকভাবে বিভক্ত করে পড়া যাবে।তবে যে শব্দ পড়ে দম ছেড়ে ওয়াকফ কারা হবে,পরবর্তীতে সেই শব্দ থেকেই পড়তে হবে।
(২)
সকাল বেলা ফিরিসতা আসবেন,সেইজন্য ঘর ঝাড়ু দিতে হবে, এমন কোনো নিয়ম শরীয়তে নাই।হ্যা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অবশ্যই ঈমানের অঙ্গ।
(৩)
নাপাক কাপড়ের পানির ছিটাও নাপাক।তাই নাপাক কাপড়কে গোসলের পূর্বে ধৌত করতে হবে।
(৪)
সিজদা ও রুকুতে তাসবিহাত পড়া সুন্নত।সুতরাং
সিজদাহ ও রুকুর তাসবিহ যদি কেউ ১ম রাকাতে পড়ে, কিন্তু ২য় রাকাতের রু'কু সিজদাতে না পড়ে,তাহলে এজন্য নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(৫)
এখন আর কাযা করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই বরং আপনার পক্ষ্য থেকে ত্রুটির সাথে ফরয বিধান আদায় হয়ে গেছে।ওয়াক্ত চলে যাবার পর ত্রুটিযুক্ত নামাযকে আর কাযা করতে হয় না ।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪৬৩)