আমার গত ৭মাস ধরে অনিয়মিত মাসিক হচ্ছে। আবার মে/জুন মাস থেকে ১৫ দিন পর পর মাসিক তো হচ্ছিল,আবার মাসিক শেষ হওয়ার ১৫ দিন পার হওয়ার আগেই রক্ত বের হচ্ছিল দেখে ইস্তিহাজা ধরে নামায আদায় করছিলাম। গত মাসে আবারো দুই মাসিকের মধ্যবর্তী ১৫ দিন অতিক্রান্ত আগেই রক্ত বের হওয়া শুরু হলে ইস্তিহাজা ধরে নামায শুরু করি কিন্তু আমার প্রচুর পেট ব্যথা হচ্ছিল যেমনটা মাসিকের শুরুতে আমার হয়ে থাকে।
আজ ২৩ তম দিন চলছে,এর মাঝে মাত্র ২ দিন রক্ত বের হওয়া বন্ধ ছিল,তা বাদে বাকি ২১ দিন রক্ত বেরোচ্ছে। এর মধ্যে ১০ দিন আমি হায়েজ হিসেবে নামায রোজা কুরআন থেকে বিরত থাকি, কিন্তু সেই ১০ দিন ও অতিক্রম হয়ে আবারো ইস্তিহাজাএ হিসাব শুরু হয়ে যায় আর আমি ওভাবেই নামায আর কুরআন পড়া শুরু করি।
মাঝে ২ দিন বিরতি দিয়ে গত ২ তারিখ থেকে,অর্থাৎ এই ৪ দিন ধরে আবারো রক্ত বেরোচ্ছে এবং সাথে একটানা পেট ব্যথা করছে যেমন ব্যথা মাসিকের সময় হয়,কিন্তু ইস্তিহাযা হিসেবে নামায কুরআন পড়তেছি।
আমার একটানা ব্যথা হচ্ছে,সেই ব্যথা নিয়েই আমি নামায পড়তেছি,রাতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতেছে এই ব্যাথার কারণে।
২৩ দিন ধরে এমন রক্ত আর ব্যথা আমাকে মানসিকভাবে ও অসুস্থ বানিয়ে দিচ্ছে আর সাথে ব্যথার কারণে শারীরিক কষ্ট তো আছেই, নামাযরত অবস্থায় ও ব্যথাটা আমার মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
৭ মাস ধরে এই অনিয়ম,আমি আশঙ্কা করছি কোনো একটা সমস্যা হয়েছে আমার শরীরে, এখন ব্যথাটা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে তাই ডাক্তার দেখানো আবশ্যক।
লকডাউনের কারণে যেকোনো জায়গায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না,আর অন্য কোনো ডাক্তারকেও চেনা নাই,যেই ডাক্তারটার কাছে যাওয়া লাগবে তিনি হিন্দু।
আমি জানি অমুসলিম নারীদের সামনেও পর্দা করতে হয়,আমি এটা কঠোরভাবে মানতে বদ্ধপরিকর।
কিন্তু এখন যখন শুনলাম যে ডাক্তার মহিলাটি হিন্দু,আমি আবারো মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছি। এই টানা ব্যথা নিয়ে আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি,৭ মাস ধরে এই অনিয়ম আমাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে।
গাইনোকলজিস্টের কাছে যেতে হলে সতর তো খুলা লাগবে চিকিৎসার খাতিরে।
এখন এই ইমার্জেন্সিতে কি আমার জন্য হিন্দু মহিলা ডাক্তার দেখানো জায়েজ হবে?
আরেকজন চেনা ডাক্তার আছে যার কাছে একইরকম সমস্যা নিয়ে আমার বোন আগে তার কাছে যেত কিন্তু কোনোরকম উন্নতি না হওয়ায় উনার কাছে যাওয়া বাদ দেওয়া লাগছে।
প্লিজ আমাকে জানান জায়েজ হবে কিনা