ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সুদের টাকার ক্ষেত্র হল,গরীব এবং মিসকিনকে দান করা বা জনস্বার্থ মূলক কাজে তা ব্যয় করা।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের উৎস দু ধরণের হয়ে থাকে। যথা-
(ক)বাধ্যতামূলক ইনকাম ট্যাক্স
অর্থাৎ ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি বাধ্যতামূলক সরকারী নীতিমার আওতাধীন হয়,যা পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ড রূপে উক্ত চাকুরজীবিকে দেয়া হবে।তাহলে উক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড সুদের অন্তর্ভূক্ত হবে না।
(খ)ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি যদি অপশনাল নীতিমালার আওতাধীন থাকে। যা ইচ্ছা করলে এড়িয়ে চলা যায়।তাহলে যতটুকু টাকা ইনকাম ট্যাক্স রূপে কেটে রাখা হয়েছে,পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ততটুকু টাকাই তার জন্য গ্রহণ করা জায়েয হবে।অতিরিক্ত টাকাকে এক্ষেত্রে সুদ হিসেবে গণ্য করা হবে।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সুতরাং যদি উক্ত ব্যক্তির প্রভিডেন্ট ফান্ড দ্বিতীয় প্রকারের হয়, তাহলে মূল টাকা ব্যতিত অতিরিক্ত টাকা সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে তা হারাম। কত টাকা হারাম সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো ধারণা লাভ করা সম্ভব না হলে, আপনি অনুমান করে ঐ পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবেন।