আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১. সুদের সম্পদ সাদাকা করার উপযুক্ত খাত কয়টি? সেগুলো কী কী?

২. ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার পরিবার তার অফিস থেকে কিছু টাকা পায়। সেই টাকাটা প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র‍্যাচুইটি ইত্যাদি বাবদ আসে ব্যাংকের মাধ্যমে। কত টাকা অফিস থেকে মূল প্রাপ্য ছিলো, আর কত টাকা ব্যাংকে রাখার সুদ তার কোন ক্লিয়ার স্টেটমেন্ট দেয়া হয়নি। শুধু টাকাটাই হস্তান্তর করেছে।

যেহেতু বেতন ভাতা জাতীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে সেভিংস একাউন্ট ব্যবহার করা হয়, এবং এধরণের একাউন্টে সুদ জমা হয়, তাই ধরে নেয়া হয়েছে প্রাপ্ত টাকায় সুদের অংশ রয়েছে। সেই সুদটুকু কী পরিমাণ তা অজানা।

বদলীর চাকরীর সুবাদে অফিসের একেক শাখার জন্য আলাদা ব্যাংকের সাথে লেনদেন রয়েছে। সেই কারণে বিভিন্ন ব্যাংকের বিভিন্ন পরিমাণ টাকা এসেছে, এবং স্বাভাবিকভাবেই সুদের হারও একেক ব্যাংকের ক্ষেত্রে একেক রকম। কোন ব্যাংকে কোন বছরে কী পরিমাণ সুদ দিয়েছে, যা এত বছর ধরে মূল টাকায় যোগ হয়েছে, এবং সুদের হার পরিবর্তনশীল  ছিল কী না এই সকল সুক্ষ্ম হিসাব বের করা এখন অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। অফিস থেকেও এ সকল হিসাব নিকাশ হস্তান্তরের আশা প্রায় শুন্য। একবার ফাইল ক্লোজড হলে তারা সেই ব্যপার নিয়ে আগাতে চায় না। অনেক হেনস্তার ব্যপার হয়ে দাঁড়ায়।

এক্ষেত্রে প্রাপ্ত টাকাগুলোকে সুদমুক্ত করার জন্য করণীয় কী?

1 Answer

0 votes
by (581,910 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সুদের টাকার ক্ষেত্র হল,গরীব এবং মিসকিনকে দান করা বা জনস্বার্থ মূলক কাজে তা ব্যয় করা।


https://www.ifatwa.info/1246 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
প্রভিডেন্ট ফান্ডের উৎস দু ধরণের হয়ে থাকে। যথা- 
(ক)বাধ্যতামূলক ইনকাম ট্যাক্স
অর্থাৎ  ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি বাধ্যতামূলক সরকারী নীতিমার আওতাধীন হয়,যা পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ড রূপে উক্ত চাকুরজীবিকে দেয়া হবে।তাহলে উক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড সুদের অন্তর্ভূক্ত হবে না।
(খ)ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি যদি অপশনাল নীতিমালার আওতাধীন থাকে। যা ইচ্ছা করলে এড়িয়ে চলা যায়।তাহলে যতটুকু টাকা ইনকাম ট্যাক্স রূপে কেটে রাখা হয়েছে,পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ততটুকু টাকাই তার জন্য গ্রহণ করা জায়েয হবে।অতিরিক্ত টাকাকে এক্ষেত্রে সুদ হিসেবে গণ্য করা হবে।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সুতরাং যদি উক্ত ব্যক্তির প্রভিডেন্ট ফান্ড দ্বিতীয় প্রকারের হয়, তাহলে মূল টাকা ব্যতিত অতিরিক্ত টাকা সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে তা হারাম। কত টাকা হারাম সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো ধারণা লাভ করা সম্ভব না হলে, আপনি অনুমান করে ঐ পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (581,910 points)
জবাব দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...