আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম শাইখ,,
১.মাথায় পাকা চুল কালো করার জন্য  কালো কলপ ব্যবহার করা হয়।এক্ষেত্রে কি ওযূ হবে?
২.এক বোনের প্রশ্ন,,
সে জানতে চায়,কারো সাথে হারাম প্রেমের সম্পর্ক থাকলে কি ঐ ব্যক্তির করা কোনো আমল ই কবুল হবে না??
(নামায, রোযা,ও অন্যন্য যেসব আমল করে)

1 Answer

0 votes
by (581,910 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4569  নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ওজুর ফরয চারটি যথাঃ-
(১)চুলের গুড়া থেকে তুথনীর নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অন্য কানের লতি পর্যন্ত সমস্ত মূখ ধৌত করা।
(২)দুনু হাত কনুই সহ ধৌত করা।
(৩)দুনু পা টাখনু সহ ধৌত করা।
(৪)মাথার এক চতুর্তাংশ মাসেহ করা।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফুকাহায়ে কেরামদের আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে,কালো কলপ বিশেষ কিছু শ্রেণী ব্যতীত একদমই দেওয়া যাবে না। (জাওয়াহিরুল ফিকহ, ৭/১৫৯
মাকতাবাতু দরুল উলূম করাচী)
কালো কলপ ব্যতীত চুলে যেকোনো কালার দেয়া যেতে পারে যদি তা কাফিরগণ কে অনুসরণ করে না করা হয়।এবং পরপুরুষ কে দেখানোর উদ্দেশ্iয না থাকে।(যেব ও যি-নত কে শরয়ী আহকাম-৭১) আরও জানুন-https://www.ifatwa.info/761

বয়স্কদের জন্য চুলে কালো কলপ দেওয়া কখনো জায়েয হবে না। হ্যা, কোনো অসুস্থতার কারণে যুবক বয়সে চুল পেকে গেলে তখন চুলে কালো মেহেদি দেওয়া যাবে। চুলে কালো মেহিদি দিলে অজুর কোনো সমস্যা হবে না। কেননা মহিদি চুল মাসেহের জন্য প্রতিবন্ধক হয় না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...