আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
250 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ
১. ঘরে অবস্থানকালে বা ঘুমানোর সময় কি চুল উঁচু করে বাধা জায়েয আছে ? [ কোনো গায়রে মাহরাম দেখার আশংকা নেই ]

২. মেয়ের বয়স কম । চুলের অযত্নের ফলে চুলগুলোর আগা ফেটে গিয়েছে এবং লালচে রং ধারণ করেছে । এমতাবস্থায় কি চুলে কালো কলপ ব্যবহার করা জায়েয হবে ? [ বি.দ্র. মেয়ে শারীয়াহ মেনে পর্দা করে , মাহরাম/গায়রে মাহরাম মেনে চলার চেষ্টা করে ; চুল পরপুরূষকে দেখানো তার উদ্দেশ্য নয় ]

1 Answer

0 votes
by (671,480 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি, কর্তৃক বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন,
 ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺻﻨﻔﺎﻥ ﻣﻦ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﻟﻢ ﺃﺭﻫﻤﺎ ﺑﻌﺪ : ﺭﺟﺎﻝ ﻣﻌﻬﻢ ﺳﻴﺎﻁ ﻛﺄﺫﻧﺎﺏ ﺍﻟﺒﻘﺮ ﻳﻀﺮﺑﻮﻥ ﺑﻬﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ، ﻭﻧﺴﺎﺀ ﻛﺎﺳﻴﺎﺕ ﻋﺎﺭﻳﺎﺕ ﻣﺎﺋﻼﺕ ﻣﻤﻴﻼﺕ ﻋﻠﻰ ﺭﺅﻭﺳﻬﻦ ﻛﺄﺳﻨﻤﺔ ﺍﻟﺒﺨﺖ ﺍﻟﻤﺎﺋﻠﺔ ، ﻻ ﻳﺪﺧﻠﻦ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﻻ ﻳﺠﺪ ﺭﻳﺤﻬﺎ ، ﻭﺇﻥ ﺭﻳﺤﻬﺎ ﻟﻴﻮﺟﺪ ﻣﻦ ﻣﺴﻴﺮﺓ ﻛﺬﺍ ﻭﻛﺬﺍ 

”জাহান্নামবাসীর দুটি দল থাকবে। যাদেরকে এখন পর্যন্ত আমি দেখিনি। একদল এমন লোক যাদের হাতে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দিয়ে তারা লোকদেরকে প্রহার করবে।(ন্যায়-অন্যায়ের ধার ধারবে না) “আর অন্য দল এমন নারী যারা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকে।তারা অন্যদেরকে নিজেদের প্রতি আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও অন্যদের প্রতি ঝুঁকবে। তাদের মস্তক উটের পিঠের কুঁজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি জান্নাতের ঘ্রাণও তারা পাবে না। অথচ এর ঘ্রাণ এত এত দূর থেকেও পাওয়া যায়।” [সহীহ মুসলিম : ২১২৮] 

★সুতরাং চুল উঁচু করে বাধা জায়েয নেই।
নিজ ঘরে গায়রে মাহরামদের সামমে যাওয়া ব্যাতিত চুল উঁচু করা উল্লেখিত হাদীসের নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত না হলেও  এখানে আরো একটি সমস্যা রয়েছে,সেটি হলো ফাসেকদের সাথে সাদৃশ্যতা। 
তাই এটির সেই ছুরতেও অনুমতি নেই। 
,
(০২)
অন্য কোনো কালারের কলপ ব্যবহার করা সর্বসম্মতিক্রমে জায়েজ আছে।
কালো কলপ করা জায়েজ নেই।

তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে রোগের কারনে অল্প বয়সে চুল এমন হলে সেই ছুরতে যেহেতু বয়স সংক্রান্ত ধোকা দেওয়ার বিষয়টি নেই,তাই শুধুমাত্র তার জন্য কালো কলপ ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে।

বিস্তারিত জানুনঃ   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...