আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
254 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
আমার যে গোস্লে ৩ ঘন্টা সময় লাগে,, সেই রোগ ধরা পড়েছে "আমি OCD রোগে আক্রান্ত"
কিন্তু OCD নিয়ে আরোও একটা প্রশ্ন জাগে। কারন রোগ দেয়ার মালিক একমাত্র ”আল্লহ রব্বুল আ'লামীন"। ডাক্তার বলেছে আর OCD আক্রান্ত ব্যক্তিরা পানি বেশী অপচয় করে। গোসলে বেশী সময় লাগায়। যেগুলা অপচয় হয়। শরীয়ত সমর্থিত নয়।

তাইলে ৫ নং প্রশ্ন OCD এই রোগটা কি আল্লহ প্রদত্ত রোগ? কারন,,OCD আক্রান্ত ব্যাক্তিরা অপচয় করে বেশী। যেটা আল্লহ পছন্দ করেন না। তাইলে আমি কি বলতে পারবো "এই রোগটা আল্লহ প্রদত্ত"?
আর OCD কে আল্লহ প্রদত্ত বললে তো,, "আল্লহ অপচয়কে সমর্থন করেন (না'উযুবিল্লাহ্) এরকম ব্যাখ্যা হয় যাবে?"  কারন OCD ব্যাক্তিরা অপচয় করে বেশি। কিন্ত আল্লহ তো অপচয়কে অবশ্যই অপছন্দ করেন।
তাইলে OCD রোগের বেলায় আকীদা কিভাবে বিশুদ্দ্ব রাখবো??
by (13 points)
Ami pani opochoy korina kintu amar ei ekti  chara OCD er baki lokkhon ache

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ODC এই রোগের নামই ওয়াসওয়াসা। সন্দেহ প্রবণনতা। অপবিত্রতার সন্দেহ থেকেই মূলত পানির ব্যবহার বেশী হয়ে থাকে। আর শয়তানের পক্ষ্য থেকে হয়। এখন প্রশ্ন হতে পারে, ওয়াসওয়াস কি আল্লাহর হুকুমেই হয়ে থাকে, উত্তরে বলা হবে যে, হ্যা, ওয়াসওয়াসা আল্লাহর হুকুমেই হয়ে থাকে। ওয়াসওয়াসা হওয়া বা হওয়া দুনু স্বভাবই আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ব। আর ওয়াসওয়াসা প্রদান করা মূলত শয়তানের কাজ, যা আল্লাহর হুকমেই হয়ে থাকে, এজন্য রাসূল সাঃ ওয়াসওয়াসা থেকে বাচার দুআ শিখিয়ে দিয়েছেন, 

গোনাক করা বা না করা, এই দু্ইটি যোগ্যতা মূলত আল্লাহর পক্ষ্য থেকেই হয়ে থাকে, আর এজন্য আল্লাহর বলছেন,
আল্লাহ তা’আলা বলেন, 
وَهَدَيْنَاهُ النَّجْدَيْنِ
বস্তুতঃ আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি।
فَلَا اقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ
অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। (সূরা বালাদ-১০-১১)

অর্থাৎ গোনাহ করা বা না করা উভয়টির যোগ্যতা আল্লাই দিয়ে থাকেন, তবে এখতিয়ার করার যোগ্যতা আল্লাহই দিয়ে থাকেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...