আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
261 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (3 points)
reshown by
আমি হানাফি মাজহাবের ফতোয়া মেনে চলা শুরু করলাম বেশ কয়েকদিন হলো৷আমার প্রশ্ন হচ্ছে মাযহাবে যেসব ফতোয়া দেওয়া হয় সেগুলো কী অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে হবে,না কি সেসব দেওয়া ফতোয়ায় তারা দলিল দেয় যেমন আয়েশা(রাঃ)হতে বর্ণিত বীর্য সম্পর্কীয় হাদিস পেশ করে তারা বীর্য পাক বলে অথবা বীর্য নাপাক বলে অথবা বলে খেজুরের ডাল দিয়ে বীর্যযুক্ত পোশাক ঘষে পবিত্র করা হয় ৷বিষয়টি এমন?নাকি তারা দলিল ছাড়াই ফতোয়া উল্লেখ করে

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

মুফতী সাহেবকে জিজ্ঞাসা করা আপরার দায়িত্ব।উনি উনার মাযহাবমত ফাতাওয়া দিবেন।ফাতাওয়া জিজ্ঞাসাকারী উনার বক্তব্যকে গ্রহণ করবেন। কাউকে মাস'আলা জিজ্ঞাসা করার পর উনি দলীল তলব করতে পারবেন না।(আহসানুল ফাতাওয়া) এবং ভিন্ন কাউকে জিজ্ঞাসাও ও যাচাই বাচাই করতে পারবেন না।

দ্বীনে ইসলাম তথা শরীয়ত হলো,কুরআন এবং হাদীসের সমষ্টির নাম।প্রথমত কুরআন এবং হাদীস আরবী। দ্বিতীয়ত আরবী বাগধারা অনেক কঠিন ও একই বাক্য বহুঅর্থের বাহক হওয়ার দরুণ কুরআন এবং হাদীসের সুস্পষ্ট ব্যখ্যা প্রয়োজন।তাছাড়া নাসিখ মানসূখ পরিচয় লাভ করাও একটা জটিল বিষয়।ইত্যাদি ইত্যাদি।সুতরাং এ সব অস্পষ্টতাকে স্পষ্টকরে যে ব্যখ্যা প্রদান করা হয়,মূলত সেটার নামই হল মাযহাব।যেহেতু অস্পষ্টতাকে দূর করে স্পষ্ট ব্যখ্যা করতে যেয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে,তাই ভিন্ন ভিন্ন মাযহাবের সৃষ্টি হয়েছে।

মাযহাব প্রশ্নে সংক্ষেপে এতটুকুই আপাতত বলতে পারেন।মাযহাব ও তাকলীদ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- 1936 

মুজতাহিদ ফিল মাযহাব তথা যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন।(১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করা যোগ্যতা।
উপরোক্ত বিষয়ে পারদর্শী কোনো ব্যক্তির জন্য তাকলীদে শাখসীর কোনো প্রয়োজন নেই।উনার কাছে নিজ ইমামের বিপরিত কোনো একটি দিক কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী প্রমাণিত হলে, উনি সেটার উপরই আ'মল করবেন। এমনকি তখন উনার জন্য নিজ ইমামের অনুসরণ বৈধ হবে না।(মাযহাব কি ও কেন দ্রষ্টব্য)এছাড়া অন্য সবার জন্য নিজ ইমামের প্রত্যেকটি মতামতকে মান্য করা ওয়াজিব।আরো জানতে ভিজিট করুন-2040 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি কেন দলীল তালাশ করবেন,আপনার কাজ হচ্ছে যে কোনো একটি মাযহাবকে ফলো করা। নতুবা নিজে নিজে কুরআন হাদীসকে বুঝার ক্ষমতা অর্জন করার যোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...