বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ। তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1037
সুতরাং তাসাউফ তথা কোনো হক্কানী,রব্বানী আলেমের সংস্পর্শ দ্বারাই আল্লাহর সঠিক ও যথার্থ পরিচয় লাভ করা সম্ভব হবে।এবং পুরোপুরি রাসূলের অনুসরণ করা এবং রাসূল সাঃ এর পবিত্র সুন্নতের অনুসরণ করাও সম্ভবপর হবে।
সু-প্রিয় পাঠকববর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মনের ওয়াসওয়াসার জন্য কোনো প্রকার গোনাহ হবে না। এবং ঈমানেও কোনো সমস্যা হবে না।
(إن الله عز وجل تجاوز لأمتي ما وسوست به وحدثت به أنفسها ما لم تعمل أو تتكلم به)
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের ওয়াসওয়াসাকে ক্ষমা করে দেবেন,এবং মনের কথাকেও ক্ষমা করে দেবেন,যতক্ষণ না আমলে পরিণত করছে বা মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করে বলছে।
(সহীহ বোখারী-৬৬৬৪,সহীহ মুসলিম-১২৭)
আপনার পরিস্থিতি অনুযায়ী বলবো যে, আপনার উপর ওয়াজিব হয়ে গেছে যে, আপনি কোনো নেককার আল্লাহ ওয়ালা বুজুর্গের সংস্পর্শে যাবেন। উনার সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত অবস্থান করবেন যতক্ষণ না আপনার ঈমান ও আমলে যৌবন ফিরে আসে। আর আপনার জন্য এই একটাই চিকিৎসা। অজু ভঙ্গ হওয়ার সন্দেহ দ্বারা অজু ভঙ্গ হবে না। বরং আপনি উক্ত অজু দ্বারা নামায চালিয়ে যাবেন। এতে করে কোনো অসুবিধে হবে না।