ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
وَيَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: سُبْحَانَ رَبِّي الْعَظِيمِ ثَلَاثًا وَذَلِكَ أَدْنَاهُ فَلَوْ تَرَكَ التَّسْبِيحَ أَصْلًا أَوْ أَتَى بِهِ مَرَّةً وَاحِدَةً يَجُوزُ وَيُكْرَهُ
মুসাল্লি রু'কু তে তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম বলবে।এবং এটা সর্বনিম্ন।তবে যদি কেউ তাসবীহ ছেড়ে দেয়,মূলত সে পড়ে না।অথবা একবার পড়ে নেয়,তাহলে সেটাও জায়েয আছে।তবে মাকরুহ হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭৪)
وَيَقُولُ فِي سُجُودِهِ سُبْحَانَ رَبِّي الْأَعْلَى ثَلَاثًا وَذَلِكَ أَدْنَاهُ. كَذَا فِي الْمُحِيطِ وَيُسْتَحَبُّ أَنْ يَزِيدَ عَلَى الثَّلَاثِ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ بَعْدَ أَنْ يَخْتِمَ بِالْوِتْرِ. كَذَا فِي الْهِدَايَةِ فَالْأَدْنَى فِيهِمَا ثَلَاثُ مَرَّاتٍ وَالْأَوْسَطُ خَمْسُ مَرَّاتٍ وَإِلَّا كَمَّلَ سَبْعَ مَرَّاتٍ. كَذَا فِي الزَّادِ وَإِنْ كَانَ إمَامًا لَا يَزِيدُ عَلَى وَجْهٍ يُمِلُّ الْقَوْمَ. كَذَا فِي الْهِدَايَةِ
মুসাল্লি সেজদাতে সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা তিনবার করে বলবে।এবং এটাই সর্বনিম্ন সংখ্যা। মুস্তাহাব হলো তিনের অধিক পড়া।এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন হলো,তিনবার পড়া,এবং মধ্যম হলো পাঁচ বার পড়া,আর পরিপূর্ণ হলো সাতবার করে পড়া।তবে ইমাম সাহেব এতো অধিক পড়বেন না যে,মুসাল্লিরা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রুকুতে সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম এর পরিবর্তে সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা বলতে নামায হয়ে যাবে, তবে মাকরুহে তানযিহি হবে।
(২)
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাজবীদ সহকারে কিরাত পড়া হয়েছে কি না? এ নিয়ে সন্দেহ থাকলে নামায হয়ে যাবে, তবে তাজবীদ সহকারে কিরাত পড়া মুস্তাহাব। সুতরাং মনযোগ সহকারে নামায পড়ার চেষ্টা করবেন।