আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
820 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (31 points)

আসসালামু আলাইকুম। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল(রহঃ) ও রুটিওয়ালার সাথে ঘটনা আমাদের সবারই জানা আছে। রুটিওয়ালার প্রতি মুহুর্তে আল্লাহের জিকির করার বরকতে আল্লাহ তার সমস্ত দোয়া কবুল করে নেন। এই বিষয়ে আমার ২টি প্রশ্ন রয়েছে।

১. একজন বিখ্যাত আলেম বলেন রুটিওয়ালার জিকিরটি ছিল সুবহানাল্লাহ-আলহামদুলিল্লাহ-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-আল্লাহু আকবার পড়া। আবার আরেক বিখ্যাত আলেম বলেন রুটিওয়ালার জিকিরটি ছিল আস্তাগফিরুল্লাহ পড়া। আসলে কোন জিকিরটি পড়েছিলেন সেই রুটিওয়ালা? 

২. সেই রুটিওয়ালা কে অনুসরণ করে আমরাও কি একইভাবে আমল করতে পারব? আমলটা খুবই মর্যাদাপূর্ণ হলেও আমার চিন্তা হচ্ছে এই আমলটি কোন হাদিস প্রমাণিত সুন্নত কিনা। অর্থাৎ কোনভাবে এটি বিদআত হতে পারে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
উক্ত রুটি ওয়ালা বেশি ইস্তেগফার পাঠ করতেন। 

সুতরাং তিনি আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করেছেন।
,
(০২)
হ্যাঁ বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠের আমল করতে পারেন।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাহ অনুসরণ করার ভিত্তিতে আমল করবেন।
এটি বিদ'আত হবেনা।

বুখারী শরীফের ৬৩০৭ নং হাদীসে এসেছেঃ

أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ وَاللهِ إِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِينَ مَرَّةً

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহর শপথ! আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে সত্তরবারেরও অধিক ইস্তিগফার ও তওবা করে থাকি। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৮৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৫৪)

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، جَمِيعًا عَنْ حَمَّادٍ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنِ الأَغَرِّ الْمُزَنِيِّ، - وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّهُ لَيُغَانُ عَلَى قَلْبِي وَإِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ فِي الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ "

ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ ও আবু রাবী আল আতাকী (রহঃ) ...... রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহাবা আগার আল মুযানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার অন্তরে কখনো কখনো অলসতা দেখা দেয়, তাই আমি দৈনিক একশ’ বার আল্লাহর নিকট ইস্তেগফার পাঠ করে থাকি। (মুসলিম শরীফ,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৬১২, ইসলামিক সেন্টার ৬৬৬৬)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (574,050 points)
توقّف الإمام أحمد بن حنبل في إحدى رحلاته عند قرية، ولم يجد مكانًا للمبيت سوى المسجد، وعندما أراد النوم فيه شاهده الحارس، فمنعه من المبيت، فحاول الإمام أن يقنعه بالمكوث، لكن دون جدوى..

فقال له الإمام سأنام موضع قدمي، وبالفعل نام الإمام أحمد بن حنبل مكان موضع قدميه، أي عند عتبة المسجد، ولكن حارس المسجد لم يعجبه الأمر؛ فجرّه لإبعاده عن المسجد..

وقد كان الإمام أحمد بن حنبل شيخًا وقورًا تبدو عليه ملامح الكبر، فرآه خباز كان يملك محلاً بسيطًا يبيع فيه الخبز، فنادى الخباز الإمام أحمد، وعرض عليه المبيت عنده..

ذهب الإمام أحمد بن حنبل مع الخباز، فأكرمه ونعّمه.. ثم ذهب الخباز لتحضير عجينة لعمل الخبز.. فلاحظ الإمام أحمد بن حنبل أمرًا حيّره، وهو أن الخباز كان لا يفارق الاستغفار لسانه أبدًا، فكان مع كل عجينة يعجنها يستغفر الله، ومع كل رغيف يدخله للفرن، أو يخرجه يستغفر الله، دون أن يفتر عن ذلك، وبشكل متواصل، ومضى وقت طويل وهو على هذه الحالة، فتعجّب الإمام أحمد بن حنبل..

فلمّا أصبح سأل الإمام أحمد بن حنبل الخباز عن كثرة استغفاره؟

فأجابه الخباز: إنه اعتاد في كل عمل يقوم به أن يذكر الله ويستغفره..

فسأله الإمام أحمد: وهل وجدت لاستغفارك ثمره؟

فقال الخباز: نعم، فوالله ما دعوتُ دعوةً إلاَّ أُجيبت! إلاَّ دعوة واحدة!

فقال الإمام أحمد: وما هي؟

فقال الخباز: رؤية الإمام أحمد بن حنبل..

فقال الإمام أحمد: أنا أحمد بن حنبل، والله إني جُررت إليك جرًّا حتى يحقق لك الله تلك الأمنية..

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...