আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম শাইখ,
১.মৃত ব্যক্তির জন্য কোনো আমল করে তার সওয়াব বখশিয়ে দেওয়ার কি কোনো নিয়ম আছে?

২.শুধুমাত্র নিয়ত করলে কি মৃত ব্যক্তির উপর সওয়াব পৌঁছাবে না?

৩.একজনের কাছে শুনেছি, স্পেসিফিক ভাবে নাকি কোনো মৃত ব্যক্তির উপর সওয়াব বখশিয়ে দেওয়া যায় না।এজন্য নাকি সব নবী এবং তাদের উম্মতের উপর সওয়াব বখশিয়ে দিতে হয় তারপর নিজের পরিবারের আত্মীয় স্বজনের উপর।এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।
জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (707,040 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
(১)
https://www.ifatwa.info/1044 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
মৃত ব্যক্তির জন্য দু'আ করতে পারেন। কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করে তাদের নামে বখশিয়ে দিতে পারেন। হ্যা দু'আ নিয়তে আরো অনেক কিছুই করতে পারেন। তন্মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে তাদের নামে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণ করে দেয়া।এবং তাদের নামে রাস্তাঘাট ও চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ সহ যাবতীয় সমাজসেবা মূলক কাজ করা। অর্থাৎ সর্ব প্রকার ভালো কাজ করে তাদের নামে সওয়াব বখশিয়ে দেয়া।তবে টাকার বিনিময়ে খতমে কোরাআন বা অন্য কোরো খতম করিয়ে ঈসালে সওয়াব করানো জায়েয হবে না।
আল্লাম ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
ﻭﺃﺧﺬ ﺍﻷﺟﺮﺓ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺬﻛﺮ ﻭﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ، ﻭﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻣﻤﺎ ﻫﻮ ﻣﺸﺎﻫﺪ ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﺯﻣﺎﻥ، ﻭﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻛﺬﻟﻚ ﻓﻼ ﺷﻚ ﻓﻲ ﺣﺮﻣﺘﻪ ﻭﺑﻄﻼﻥ ﺍﻟﻮﺻﻴﺔ ﺑﻪ، ﻭﻻ ﺣﻮﻝ ﻭﻻ ﻗﻮﺓ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺍﻟﻌﻠﻲ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ-
আল্লাহর যিকির বা কুরআন তেলাওয়াত করে বিনিময় গ্রহণ করা মাকরুহ।যে প্রথা বর্তমান সময়ে লক্ষ্য  করা যাচ্ছে। এরকম প্রথা/রুসুম চালু হয়ে গেলে সেটা হারাম হবে।এবং এর ওসিয়ত বাতিল করলে সেটাও বাতিল বলে গণ্য হবে। এতে কোনো সন্দেহ নাই। {রদ্দুল মুহতার(শামেলা):২/২৪১ আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৯৯}

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
কুরআনে কারীম মানব জাতির জন্য শে'ফা স্বরূপ নাযিল হয়েছে।বাহ্যিক ও অন্তর্গত সকল বিষয়ে কুরআনে কারীম মানব জাতির জন্য কল্যাণকর। কুরআনে কারীম যেভাবে একজন মানুষকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথে নিয়ে আসতে পারে। ঠিকতেমনি বাহ্যিক অসুস্থতাকে সুস্থতায় পরিণত করে দিতেও পারে।কুরআনে কারীম মূত্যুর পরও কাজ দিবে।অর্থাৎ আল্লাহর হুকুমে তেলাওয়াতকারীকে করব জগতের আ'যাব থেকে রক্ষা করবে। মোটকথা,ঈসালে সওয়াব(কাউকে সওয়াব পৌছিয়ে দেয়া) হিসেবে কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করা যাবে।তবে এক্ষেত্রে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে না। তবে হ্যা দুনিয়াবি প্রয়োজন হিসেবে চিকিৎসা স্বরূপ বিনিময়ের সাথে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে বা কোনো বিশেষ সূরা পড়া যাবে। এক্ষেত্রে অনুমোদন রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/997 

(২) শুধুমাত্র নিয়ত করলে হবে না, বরং সওয়াব পৌছানোর বাস্তব চেষ্টা করতে হবে। 

(৩) না, এরকম কোনো নিয়ম শরীয়তে নাই। বরং সরাসরি নিজ আত্মীয় স্বজনের উপর সওয়াব পৌছিয়ে দেয়া যায়। হ্যা, নবীদের উপর দুরুদ পাঠ করা দুআতে উত্তম। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
কিন্তু উস্তাদ মরার পর তো আমল নামা বন্ধ হয়ে যায় শুধু ৩ টি আমল পৌঁছে।
১.নেক সন্তান
২.উপকারী ইলম শিক্ষা দেওয়া
  
৩.সদকায়ে জারিয়া 
 এখন উস্তাদ ু এখানে নেক সন্তান যতো নেক কাজ করবে মা বাবা কি কবরে তার সওয়াব পাবে????? আর এই তিন প্রকার ছাড়া অন্য কারে নেক কাজ করে মৃতকে দিলে (যদি এভাবে বলে হে আল্লাহ আমি এখন এই ৩ বার সূরা ইখলাস পাঠ করলাম এর সওয়াব তুমি অমুকের কবরে পৌঁছে দাও)কি হবে?? এবাবে অন্য কেউ সওয়াব পাঠানোর উপর কি কোনো সহী দলিল আছে??????    
  
by (707,040 points)
নেক সন্তান যত নেক কাজ করবে, এর সওয়াব মা বা করবে পাবে না।তবে নেক সন্তান যদি মা বার নামে বখশিয়ে দেয়, এবং নেক সন্তান হলে অবশ্যই মা বার নামে সওয়াব বখশিয়ে থাকবে, তাহলে তখন মা বা কবরে বসেও সওয়াব পেতে থাকবে।
by (707,040 points)
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে।আপনি উপরোক্ত লিংকে ক্লিক করে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...