ফেসবুক কিংবা অন্য যে কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষেত্রে যদি ইসলামি শরিয়তের নিষিদ্ধ কোনো কাারণ পাওয়া না যায় তবে এ সব ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে কল্যাণমূলক কাজ করবে,দ্বীনের প্রচার প্রসার এর কাজ করবে। দেশ জাতীর উন্নয়ন,সচেতনতামূলক কাজ করবে। কুরআন-হাদিস নির্দেশিত অন্যায় ও খারাপ থেকে মানুষকে বিরত রাখার কাজও এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করবে, তা তার জন্য অবশ্যই কল্যাণকর।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
★প্রিয় প্রশ্নাকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
★বেগানা নারীদের ছবি দেখা যেহেতু জায়েজ নেই,তাই ফেসবুকে মহিলাদের ছবি দেখা জায়েজ নেই।
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬
★ফেসবুক চালানোর সময় না চাইলেও মেয়েদের ছবি সামনে চলে আসে সেক্ষেত্রে করনীয় হলো দ্রুত চোখ ফিরিয়ে নেওয়া।
ইচ্ছাকৃতভাবে সেটি আর না দেখা।
দেখলে গুনাহ হবে।
,
অনিচ্ছায় সামনে পড়ে গেলে দ্রুত নজর ফিরিয়ে নিলে গুনাহ হবেনা।
আলী রা.-কে নবীজী বলেছেন,
يَا عَلِيُّ لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ، فَإِنَّ لَكَ الأُولَى وَلَيْسَتْ لَكَ الآخِرَةُ.
হে আলী! (হঠাৎ) দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার পর আবার দ্বিতীয়বার তাকিয়ো না। কারণ, (হঠাৎ অনিচ্ছাকৃত পড়ে যাওয়া) প্রথম দৃষ্টি তোমাকে ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না। জামে তিরমিযী, হাদীস ২৭৭৭