ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
কাউকে ১ হাজার টাকা নগদ ধার দিলে, সে যদি বিকাশে ১০২০ টাকা দেয়,তাহলে সেটা সুদ হবে না। কেননা এই অতিরিক্ত ২০ টাকা ক্যাশআউট চার্জ হিসেবে বিবেচ্য হবে।অনুরূপভাবে যদি কেউ অন্যজনকে ১০২০ টাকা বিকাশে ধার দিলাম।তাহলে ঋণগ্রহিতা ঋণ ফেরৎ দেয়ার সময়,১০২০টাকা ফেরৎ দিবে।কিন্তু সে যদি পরিশোধ করার সময় ১০০০ টাকা বিকাশে পাঠায়,তাহলে ঋণদাতা ২০ টাকা পাঠাতে বলতে পারবে।
★কিন্তু কাহারো বিকাশ একাউন্টে ১০০০ টাকা ঋণ হিসেবে সেন্ড মানি করে নিজ একাউন্টে ১০২০ টাকা ফেরৎ নেয়া কখনো জায়েয হবে না,বরং সেটা সুদ হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন-
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺄْﻛُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻻَ ﻳَﻘُﻮﻣُﻮﻥَ ﺇِﻻَّ ﻛَﻤَﺎ ﻳَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺘَﺨَﺒَّﻄُﻪُ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺲِّ ﺫَﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﺎﻟُﻮﺍْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﺒَﻴْﻊُ ﻣِﺜْﻞُ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻭَﺃَﺣَﻞَّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺒَﻴْﻊَ ﻭَﺣَﺮَّﻡَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻓَﻤَﻦ ﺟَﺎﺀﻩُ ﻣَﻮْﻋِﻈَﺔٌ ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻪِ ﻓَﺎﻧﺘَﻬَﻰَ ﻓَﻠَﻪُ ﻣَﺎ ﺳَﻠَﻒَ ﻭَﺃَﻣْﺮُﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﻣَﻦْ ﻋَﺎﺩَ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻫُﻢْ ﻓِﻴﻬَﺎ ﺧَﺎﻟِﺪُﻭﻥَ
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়।তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত!অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।(রা বাকারা-২৭৫)
★★প্রশ্নে উল্লেখিত অতিরিক্ত ২০০ টাকা ক্যাশআউট চার্জ হিসেবে বিবেচ্য হবে।
এটি সূদ নয়।
,
★তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু ক্যাশ আউট না করে ১০০০০ সেন্ড মানি করেছেন,২০০ টাকা আপনার কাছে রয়েই গেছে,তাই অতিরিক্ত ২০০ টাকা আপনার জন্য ব্যবহার করা জায়েজ নেই।
এটি সেই বন্ধুকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
নতুবা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া ফকির মিসকিনকে দিয়ে দিবেন।