আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ মুহতারাম উস্তায।


একজন ব্যাক্তির একটা অন্ধকার অতীত ছিলো।দশ বছরের মতো একটা বিশাল সময় হারাম রিলেশনশিপে জড়িয়ে ছিলো।হঠাৎ তাদের দুজনের মাঝে কিছু পরিবর্তন এলো।এবং দুটি প্রেক্ষাপট তৈরি হলো সম্ভাব্য।


প্রেক্ষাপট-১:তারা দুজনেই রবের কাছে তাওবা করলো এবং আলাদা হয়ে গেলো।সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেললো।এবং এভাবেই আজীবন তাওবার উপর থাকার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলো।(তবে শয়তান তাদের মনে প্রায়ই পূর্বের কথা ওয়াসওয়াসা দিতে পারে,কখনোবা তারা দূর্বল হয়ে পরতেও পারে।)


প্রেক্ষাপট-২:তারা দুজনেই রবের কাছে তাওবা করলো।এবং সিদ্ধান্ত নিলো যথাশীঘ্র দুই পরিবারের অনুমতিক্রমে বিয়ে করবে।বিয়ের আগ পর্যন্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করবে।এবং যতোদিন বেঁচে থাকবে একসাথে তাওবা করে যাবে খাঁটি মনে।


আমার প্রশ্ন হচ্ছে-

(ক)উল্লেখিত ২য় প্রেক্ষাপটের কার্যক্রম টা কী হারাম/নাযায়েযের অন্তর্ভুক্ত হবে?

(খ)উপরিউক্ত কোন প্রেক্ষাপটের সিদ্ধান্ত টি সবচেয়ে ভালো হবে?কোন তাওবা টি কবুল হবার সম্ভাবনা বেশি?

(গ)পূর্বের হারাম সম্পর্কের জন্য বিয়ে করতে চাওয়া/বিয়ে পরবর্তী সবকিছু কী হারাম হয়ে যায়?এই বিয়ে করতে চাওয়ার বিষয়টিকে নিয়ে কেউ মজা/ঠাট্টা/ব্যাঙ্গ করতে পারবে কী?


جزاك اللهُ خيرًا

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(ক)
২য় প্রেক্ষাপটের কার্যক্রম টা হারাম/নাযায়েযের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
এটি জায়েজ আছে।
,
(খ)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»

হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০] 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তওবার শর্ত গুলির মধ্যে অন্যতম একটি শর্ত ভবিষ্যতে সেই কাজটি ছেড়ে দেওয়ার উপর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
,   
যদি কেহ তওবার সমস্ত শর্ত মেনে খালেছ দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করে,আল্লাহ যদি তার তওবা কবুল করেন,তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ঐ গুনাহ গুলোর জন্য শাস্তি দিবেননা। 
.
তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে  বিস্তারিত জানুনঃ  
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত শর্ত পুরোপুরি ভাবে মেনে তওবা করা হলে উভয় ছুরতেই তওবা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 
কোনো ছুরতে যদি উপরোক্ত শর্ত পুরোপুরি ভাবে মানা সম্ভন না হয়,সেক্ষেত্রে তওবা কবুল হবেনা।
,
(গ)
বিয়ে পরবর্তী কোনোকিছুই হারাম হয়ে যাবেনা।
সম্পূর্ণ জায়েজ।  

এই বিয়ে করতে চাওয়ার বিষয়টিকে উভয় পরিবার মেনে নিলে এ নিয়ে কেউ মজা/ঠাট্টা/ব্যাঙ্গ করতে পারবেনা।
এটি ঠিক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...