আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in সালাত(Prayer) by (31 points)

আসসালামু আলাইকুম।  আমার বিল্ডিংয়ের উপরেই একটি ছোট মসজিদ আছে। সেখানে বিল্ডিংয়ের অন্যান্য লোকদের নিয়ে ৫ওয়াক্তই নামাজ হয়। আমি সেখানে নামাজ আদায় করি। তাছাড়া পুরুষের জামাতে নামাজ আদায় করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু করোনা সংকটের কারণে আমার মা নিরাপত্তার জন্যে বাসায় নামাজ আদায় করতে বলছেন। কিন্তু একই সময়ে বাজার করতে কিংবা বিভিন্ন কাজে বা প্রয়োজনে আমরা ঠিকই বের হচ্ছি। তবে খুবই কম বের হচ্ছি, অপরদিকে নামাজে দিনে ৫বার বের হওয়া প্রয়োজন। আবার যে কাজে বেরোলাম সে কাজ আর যাই হোক নিশ্চয়ই নামাজ সব কিছুরই উর্ধ্বে। আবার এদিকে আমার মায়ের বারণ। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? মসজিদেই নামাজ চালিয়ে যাব? নাকি বাসায় নামাজ পড়ে নিব পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে আসা পর্যন্ত এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে আবার মসজিদে যাব? আর মসজিদে না যাওয়া যদি জায়েজ হয়, কিন্তু বিভিন্ন কাজে ঠিকই বের হলে, আমি কি পাপী হব?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-


৩০ মার্চ ২০২১ইংরেজী তারিখে https://ifatwa.info/13351/
 ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
নামায ঘরে না পড়ে মসজিদে পড়াই সওয়াব বেশী। পুরুষদের জন্য মসজিদে মুসলমানদের জামাতের সাথে নামায পড়াই পরিপূর্ণ নামায।এমনকি বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিবও বটে।কেননা আ'মলের মাধ্যমে আ'যানের জবাব দেয়া ওয়াজিব। এ জন্য কোনো পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন না। উনার জন্য জায়েয হবে না। হ্যা প্রয়োজনে ঘরে নামায পড়া যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1267

আজ ২৫ জুলাই ২০২১ইংরেজী তারিখে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতে মসজিদের জামাতকে ত্যাগ করা কি জরুরী? 
এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, এখনও যেহেতু সরকারের পক্ষ থেকে মসজিদের কোনো বিধি-নিষেধ আসেনি। তাই মসজিদের জামাতেই শরীক হতে হবে। ওয়াজিব বিধান রহিত হবে না।  তবে কোথাও স্বাস্থ্যববিধি-কে ফলো করা না হলে, এবং সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বর্ধমান থাকলে, সেই জায়গার মসজিদে না যাওয়ার অনুমোদন রয়েছে। সুতরাং আপনি বিশেষ প্রয়োজন বা অসুবিধা না থাকলে মসজিদেই নামায পড়বেন। 

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন-

لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلَاةِ إِلَّا مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ، أَوْ مَرِيضٌ، إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتَّى يَأْتِيَ الصَّلَاةِ.

আমাদের অবস্থা এমন ছিল যে, নামায (-এর জামাত) থেকে পিছিয়ে থাকত কেবল এমন মুনাফিক, যার নিফাক স্পষ্ট ছিল অথবা অসুস্থ ব্যক্তি। তবে আমরা অসুস্থদেরকেও দেখতাম, দুই ব্যক্তির কাঁধে ভর করে তারা নামাযের জন্য চলে আসত। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৮৫

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

صَلاَةُ الجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً.

অর্থাৎ একাকী নামায পড়া অপেক্ষা জামাতে নামায আদায় করা সাতাশ গুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৭৫


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...