বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ويبطل الوطن الأصلي بالوطن الأصلي إذا انتقل عن الأول بأهله وأما إذا لم ينتقل بأهله ولكنه استحدث أهلا ببلدة أخرى فلا يبطل وطنه الأول ويتم فيهما............
......ولو انتقل بأهله ومتاعه إلى بلد وبقي له دور وعقار في الأول قيل: بقي الأول وطنا له وإليه أشار محمد - رحمه الله تعالى - في الكتاب،
ওয়াতানে আসলী, ভিন্ন ওয়াতানে আসলী দ্বারা বাতিল হয়ে যায়।(তথা পরবর্তীতে কোনো স্থানকে ওয়াতানে আসলী বানালে পূর্ববর্তী ওয়াতানে আসলী বাতিল হয়ে যায়)তবে যদি কেউ পূর্ববর্তী বাসস্থান থেকে পরিবারবর্গ কে না সরায়,এবং ভিন্ন শহরে নতুন কোনো পরিবারবর্গকে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য নির্ধারণ করে(অথবা দ্বিতীয় বাসস্থানে বর্তমান অবস্থানস্থল থাকলেও প্রথমটিকে বিক্রি করে দেয়া হয়নি,বরং মাঝেমধ্যে এখানে আসা হয়)তবে প্রথম বাসস্থান বাতিল হবে না।এ সময় উভয় বাসস্থান-ই ওয়াতানে আসলী হিসেবে গণ্য হবে।এবং উক্ত দুই স্থানেই পূর্ণ নামায পড়া হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/১৪২) আরো রয়েছে- (ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ-৫/১৭৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার পূর্বের পৈত্রিক বাড়িতে কোনো বাড়ি ঘর নেই,এবং সে স্থান থাকারও উপযোগী নয়,তাই আপনি সেখানে গেলে মুসাফির হিসেবেই গণ্য হবেন। তাই আপনি বরিশালে গেলে মুসাফির হিসেবেই গণ্য হবেন।
(২)
বরিশালে যাওয়ার পর আপনি যখন বরিশালের কোনো এক নির্দিষ্ট গ্রামে ২০দিনের অবস্থানের নিয়ত করবেন,তখন আপনি মুকিম হবেন।এর পূর্ব পর্যন্ত আপনি মুসাফির হিসেবেই গণ্য হবেন।সুতরাং রাস্তায় চলাচলের সময় আপনি মুসাফির হিসেবেই গণ্য হবেন।
(৩)
গভীর চিন্তাভাবনা করে কিবলা নির্ধারণ করবেন।প্রয়োজনে আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যও নিতে পারবেন। নামাযেই যদি যানবাহন ঘুরে কিবলা পরিবর্তন হয়ে যায়,তাহলে আপনাকেও সাথে সাথে ঘুরতে হবে।
(৪)
সুন্নতে মুআক্কাদা নামাযে কসর নাই।সময় সুযোগ থাকলে সফলের হালতে সুন্নতে মু'আক্কাদার নামায পড়ে নেয়াই উত্তম।
(৫)
বাসে তায়াম্মুম করা সম্ভব হলে তায়াম্মুম করেই নামায পড়তে হবে।আর তায়াম্মুম করা সম্ভব না হলে নামাযীর সাদৃশ্য গ্রহণ করে ইশারায় রুকু সিজদা আদায় করে নিতে হবে।সাদাস্রাব ধৌত করার প্রয়োজন তখন থাকবে না।
এবং পরবর্তীতে বাসায় গিয়ে নামাযকে দোহড়াতে হবে।