ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ওজুর ফরয চারটি যথাঃ-
(১)
চুলের গুড়া থেকে তুথনীর নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অন্য কানের লতি পর্যন্ত সমস্ত মূখ ধৌত করা।
(২)
দুনু হাত কনুই সহ ধৌত করা।
(৩)
দুনু পা টাখনু সহ ধৌত করা।
(৪)
মাথার এক চতুর্তাংশ মাসেহ করা।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
াদাঁতের ফাকে কিছু আটকে থাকলে অজু হবে। কেননা অজুর চারটি ফরযের মধ্যে এটি নেই যে, মুখের ভিতরের সব জায়গাটুকুকে ধৌত করতে হবে। সুতরাং সমস্ত মুখে খাবার থাকলেও অজু হয়ে যাবে যদি অজুর চারটি ফরয কে আদায় করে নেয়া হয়।
(২)
ইবনুল মুনযির রাহ বলেন,
" أَجْمَعَ أَهْلُ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّ الْمُصَلِّيَ مَمْنُوعٌ مِنْ الْأَكْلِ وَالشُّرْبِ ، وَأَجْمَعَ كُلُّ مَنْ نَحْفَظُ عَنْهُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّ على مَنْ أَكَلَ أَوْ شَرِبَ فِي صَلَاةِ الْفَرْضِ عَامِدًا الْإِعَادَةَ "
সমস্ত উলামায়ে কেরাম একমত যে,নামাযে কোনো কিছু খাওয়া বা পান করা নিষিদ্ধ।এবং যে ব্যক্তি নামাযে ইচ্ছাকৃত কিছু খেয়ে ফেলবে বা পান করে ফেলবে,তাকে নামায দোহরাতে হবে।(আল-আওসাত-৫/১০৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুখে সামান্য খাদ্য থাকার দরুণ আপনার নামায ফাসিদ হবে না। এমনকি বেশী খাদ্য থাকলেও নামায ফাসিদ হবে না। হ্যা, একটি ছানাবোট সমপরিমাণ খাদ্য গিলে ফেললে তখন নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
(৩) মৃতদের নাম দেওয়া জরুরী কিছু নয়। এটা মুস্তাহাব কুরবানি হিসেবে তাদের নামে মুস্তাহাব কুরবানি দেয়া যাবে।